রেফারির সমালোচনা করে মরিনিও বললেন, ‘আগে জানলে তুর্কি লিগে আসতাম না’
তুর্কি সুপার লিগে গতকাল রাতে ত্রাবজোনস্পোরের বিপক্ষে উত্থান–পতনের নাটকীয় এক লড়াইয়ের শুরুতে এগিয়ে যায় ফেনেরবাচে। যদিও সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে পরপর দুটি গোলে লিড হারানোর পাশাপাশি পিছিয়েও পড়ে ফেনেরবাচে। এরপর অবশ্য ৭৫ মিনিটের গোলে আবারও সমতায় ফেরে জোসে মরিনিওর দল।
একপর্যায়ে ম্যাচটা সমতাতেই শেষ হওয়ার অপেক্ষা ছিল। কিন্তু তখনই চমক হয়ে আসে সোফিয়ান আমরাবাতের গোল। যোগ করা সময়ে ১২ মিনিটে করা সেই গোলে ৩–২ ব্যবধানের দারুণ এক জয় আদায় করে নেয় ফেনেরবাচে। তবে জয়ের উত্তেজনা ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে মরিনিওর উদ্যাপন। উদ্ভট সব কাণ্ডে মরিনিও অবশ্য প্রায়ই আলোচনায় থাকেন।।
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে জয়ের পর মাঠে এক দৌড়ে হাঁটু গেড়ে স্লাইডিং উদ্যাপনে মেতে ওঠেন ফেনেরবাচের পর্তুগিজ কোচ মরিনিও। এমনকি উদ্যাপনটা ঠিকঠাক করতে না পারায় একপর্যায়ে শিশুদের মতো উল্টেও পড়েন ৬১ বছর বয়সী এই কোচ। তাতে অবশ্য একটুও কমেনি মরিনিওর উন্মাদনা। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময়ও মুষ্টি উঁচিয়ে উদ্যাপনে মাততে দেখা যায় তাঁকে।
শুধু উদ্যাপনেই নয়, ম্যাচের পর তাঁর করা মন্তব্য নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বেশ। বিশেষ করে ভিএআর রেফারির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মরিনিও। ম্যাচে ফেনেরবাচের বিরুদ্ধে দেওয়া পেনাল্টি দুটি অন্যায্য বলে দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, আগে জানলে তিনি তুরস্কেই আসতেন না।
মরিনিও বলেছেন, ‘আমি ফেনেরবাচের মানুষদের দোষ দিচ্ছি, যারা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। তারা আমাকে অর্ধেক সত্য বলেছে। তারা আমাকে পুরো সত্য বলেনি, যদি তারা আমাকে পুরো সত্য বলত, আমি এখানে আসতাম না।’
এরপরও দল যেভাবে লড়াই করেছে, সেই মনোভাবের প্রশংসা করার পাশাপাশি ভিএআরে থাকা রেফারির কড়া সমালোচনা করে মরিনিও বলেছেন, ‘অর্ধেক সত্য নিয়েও আমরা সবাই প্রতিপক্ষ এবং প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সে (ভিএআর রেফারি আতিলা কারাওগ্লান) দুটি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যা (মাঠের) রেফারি দেয়নি। আর আমাদের যখন নিশ্চিত পেনাল্টি পাওয়ার কথা ছিল, তখন সে সেটা দেয়নি। তাই ম্যাচসেরা হচ্ছে আতিলা কারাওগ্লান।’
এই রেফারিকে আর চান না জানিয়েও মরিনিও বলেছেন, ‘আমরা তাকে দেখিনি, তবে রেফারির কাজটা মূলত সে–ই করেছে। সে অদৃশ্য মানব হয়েও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আমার ধারণা, আমি ফেনেরবাচের ভক্তদের হয়ে কথা বলছি। আমরা তাকে (রেফারিকে) আর দেখতে চাই না। আমি ভিএআর হিসেবে তাকে আর চাই না।’