এমবাপ্পেদের নিয়ে বর্ণবাদী গানের পর ক্ষমা চাইলেন ফার্নান্দেজ

লিওনেল মেসির সঙ্গে ফাইনালে লাওতারো মার্তিনেজের (ছবিতে নেই) গোল উদ্‌যাপন করছেন এনজো ফার্নান্দেজ (মাঝে ডানে)এএফপি

‘অত্যন্ত অপমানজনক’ ভাষায় ফ্রান্স দলকে নিয়ে গান গাওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। কোপা আমেরিকা জয়ের উন্মাদনা পেয়ে বসেছিল তাঁকে, এমনও জানিয়েছেন তিনি।

গত রোববার মায়ামিতে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকা জেতে আর্জেন্টিনা। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা দলটির টিম বাসের উদ্‌যাপনের এক লাইভ ভিডিওতে ফ্রান্সকে ঘিরে করা ওই বর্ণবাদী গানটি শোনা যায়। সে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছিল ফার্নান্দেজের অ্যাকাউন্ট থেকে। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স দলকে নিয়ে ওই গানটি বানিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। সে সময় ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকার ও এখনকার অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পেও ছিলেন সে গানের লক্ষ্যে।

আরও পড়ুন

ফার্নান্দেজের ভিডিওতে তিনিসহ অন্যদের সেটিই গাইতে শোনা গেছে। তবে এরপর ইনস্টাগ্রামের এক স্টোরিতে এ নিয়ে ক্ষমা চেয়ে ফার্নান্দেজ লিখেছেন, ‘জাতীয় দলের উদ্‌যাপনে আমার ইনস্টাগ্রাম চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই।’

বুয়েনস এইরেসে কোপাজয়ী আর্জেন্টিনা দল বহনকারী বাস
এএফপি

তিনি বলেন, ‘এ গানে অত্যন্ত অপমানজনক ভাষা আছে এবং এসব শব্দ ব্যবহারের কোনো অজুহাতই নেই। সব ধরনের বৈষম্যের বিপক্ষে আমি। আমাদের কোপা আমেরিকা উদ্‌যাপনের উন্মাদনায় পড়ে গিয়েছিলাম বলে ক্ষমা চাই।’

লাইভে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের বর্ণবাদী গানটির প্রথম দুই লাইন গাইতে শোনা যায়। যেটি এমন, ‘পাসপোর্টে তাদের ফ্রেঞ্চ জাতীয়তা, শোনা, কথাটি ছড়িয়ে দাও, তারা ফ্রান্সে খেলে, কিন্তু তারা সবাই…।’ এটুকুর পর কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘ভিডিও বন্ধ করো।’

আরও পড়ুন

সদ্য রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া ফ্রান্স অধিনায়ক এমবাপ্পের সঙ্গে দেশটির ট্রান্সজেন্ডার মডেল আইনস রাউয়ের কথিত সম্পর্কের ইঙ্গিতও আছে ওই গানে। সেই বর্ণবাদী গানটির পরের লাইনগুলো ছিল এমন, ‘...তারা ফ্রান্সে খেলে, কিন্তু তারা সবাই অ্যাঙ্গোলা থেকে আসা, তারা দৌড়ায় ভালো, লিঙ্গান্তরিত মানুষের সঙ্গে শোয়, তাদের মা নাইজেরিয়ান, তাদের বাবা ক্যামেরুনিয়ান, কিন্তু পাসপোর্টে বলা—ফ্রেঞ্চ।’

আরও পড়ুন

ফার্নান্দেজ তাঁর স্টোরিতে বলেন, এসব কথা তিনি বিশ্বাস করেন না, ‘ওই ভিডিও, ওই মুহূর্ত, ওই শব্দগুলো আমার বিশ্বাস বা চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলে না। আমি সত্যিই দুঃখিত।’

ফার্নান্দেজ ক্ষমা চাওয়ার আগে এ ব্যাপারে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি ফিফার কাছে অভিযোগ করার কথাও জানিয়েছে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)।