দি মারিয়া টু মায়ামি—এখনই হচ্ছে না
বেনফিকাকে দিয়ে ইউরোপীয় অভিযান শুরু হয়েছিল। এরপর রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস ঘুরে আবার সেই বেনফিকাতেই ফিরেছেন আনহেল দি মারিয়া। পর্তুগিজ ক্লাবটির সঙ্গে আগামী জুনেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে দি মারিয়ার। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে পড়া আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার মৌসুম শেষেই ইউরোপ ছাড়বেন, এমন ধারণা করছেন কেউ কেউ।
এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, দি মারিয়াকে আগামী মৌসুমে ইন্টার মায়ামিতে লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলতে দেখা যেতে পারে। যেখানে তিনি সতীর্থ হিসেবে লুইস সুয়ারেজ, সের্হিও বুসকেতস, জর্দি আলবাদেরও পাবেন। তবে সেই গুঞ্জন ডালপালা মেলার আগেই ছেঁটে দিয়েছেন মায়ামির কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনো।
প্যারাগুয়ের রেডিও ‘মনুমেন্তাল এএম ১০৮০’কে মার্তিনো জানিয়েছেন, মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) বেতনসংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে আপাতত মায়ামিতে দি মারিয়ার নাম লেখানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। শুধু দি মারিয়াই নন, আর্জেন্টিনার হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা গোলকিপার সের্হিও রোমেরোকেও একই কারণে দলে নেওয়া সম্ভব নয় বলে নিশ্চিত করেছেন মার্তিনো।
রেডিও মনুমেন্তাল এএম ১০৮০ কে মার্তিনো বলেছেন, ‘সত্যিটা হলো অর্থনৈতিক বা আইনগতভাবে আমরা তাদের আনার মতো অবস্থানে নেই। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আনহেলের (দি মারিয়া) ব্যাপারে (ইন্টার মায়ামির) ক্রীড়া পরিচালকের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। এই লিগের কিছু অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ, কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা সেসব নিয়ম মেনেই চলছি। তাই এখন নতুন কাউকে দলে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না, বিশেষ করে (দি মারিয়ার মতো) অসাধারণ খেলোয়াড়কে।’
তবে এমএলএসের এই মুহূর্তে না হলেও অদূর ভবিষ্যতে দি মারিয়াকে ইন্টার মায়ামিতে নিয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্তিনো, ‘এটা সত্যি যে এখানকার দলবদলপ্রক্রিয়া এখন বন্ধ আছে। এটা শুধু জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে খোলা থাকে। সেই সময় এলে দেখতে হবে, আমরা (দি মারিয়ার জন্য) কী করতে পারি। দলবদলের বাজারে ইন্টার মায়ামি সবার জন্য উন্মুক্ত, (খেলোয়াড় কেনাবেচার ক্ষেত্রে) সব সময়ই আরও উন্নতির সম্ভাবনা আছে।’
বেনফিকায় নতুন অধ্যায় শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৪৬ ম্যাচ খেলেছেন দি মারিয়া। গোল করেছেন ১৬টি, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৫টি। ৩৬ বছর বয়সী তারকা গত মার্চে জানিয়েছিলেন, জন্মশহরের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলেই ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান। ওই ঘোষণার পরই দি মারিয়ার পরিবারের যেকোনো এক সদস্যকে হত্যার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে গত এপ্রিলে দি মারিয়া নিজেই জানিয়েছেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।