ইতালি ০ : ২ সুইজারল্যান্ড
সেই ১৯৯৩ সালের পর সুইজারল্যান্ড কখনো ইতালিকে হারাতে পারেনি। ২০০৪ সালের ইতালি কখনো ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের আগে থামেনি। আজ জার্মানির বার্লিনে দুটি ইতিহাসই লেখা হলো নতুন করে। ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ২–০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো থেকে বিদায় করেছে সুইজারল্যান্ড।
নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ ও ইউরো) টাইব্রেকার ছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সুইজারল্যান্ড। ঐতিহাসিক জয় এনে দেওয়া গোল দুটি করেছেন রেমো ফ্রেলার ও রুবেন ভারগাস। ইতালি পুরো নব্বই মিনিটে শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র একটিই।
ম্যাচে ইতালি যা খানিকটা খেলেছে দ্বিতীয়ার্ধেই। প্রথম ৪৫ মিনিটে একপ্রকার খুঁজেই পাওয়া যায়নি লুসিয়ানো স্পালেত্তির দলকে। গোলমুখে জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা প্রতিরোধ গড়ে না তুললে সে সময়ই একাধিক গোল হজম করতে পারত দলটি।
এরমধ্যে ২৪ মিনিটে এমবোলো আর বিরতির আগমুহূর্তে রেইডারকে গোলবঞ্চিত করেন দোন্নারুম্মা। এর মাঝেই ৩৭ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পেয়ে যায় সুইসরা। নটিংহাম ফরেস্ট মিডফিল্ডার ফ্রেলারের জোরাল শট পা বাড়িয়ে রুখে দিতে চেয়েছিলেন দোন্নারুম্মা। বল পায়ে লাগলেও খুব বেশি দিক না পাল্টে জালে জড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ২৭ সেকেন্ডে দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ভারগাসের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কোনাকুনি শট নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও রুখতে পারেননি ইতালি গোলকিপার।
দুই গোল হজমের পর অবশ্য ইতালি কিছুটা গুছিয়ে ওঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের জমাট রক্ষণকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি জিয়ানলুকা সামাকা, ফেদেরিকো চিয়েসাদের।
শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ২০২০ ইউরোর চ্যাম্পিয়নদের। ১৯৯৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১–০ ব্যবধানে হারার পর ১১ ম্যাচ ও ৩১ বছর পর ইতালিকে হারাল সুইজারল্যান্ড। আর দুই দশক পর আবারও মহাদেশসেরা–টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বিদায় নিল ইতালি।