আলোনসোর কোন গুণে লেভারকুসেন এতটা সফল, জানালেন দলটির ডিফেন্ডার
বে অ্যারেনায় উড়ছে উৎসবের রং। বুন্দেসলিগার শিরোপা তো ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল, কাল লিগের শেষ দিনে নিজেদের মাঠে অগসবুর্গের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে হাতে পেয়েছে ট্রফি।
সেই ট্রফি হাতে নেওয়ার আগেই একটি ইতিহাস হয়ে গেছে লেভারকুসেন। অগসবুর্গকে হারানোর মধ্য দিয়ে প্রথম দল হিসেবে পুরো মৌসুম অপরাজিত থেকে বুন্দেসলিগা জয়ের রেকর্ড গড়েছে জাবি আলোনসোর দল।
অনেক আগে থেকেই লেভারকুসেনের স্প্যানিশ কোচের ওপর ঝরছে প্রশংসার বৃষ্টি। গতকাল যেন সেটা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল। আরেকবার শিরোপা-উৎসব শেষে লেভারকুসেনের কোচ আলোনসোকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দলটির ডিফেন্ডার জোনাথন টাহ্।
কীভাবে আর আলোনসোর কোন গুণে লেভারকুসেন এমন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠল, এতটা সফলতা পেল—সে রহস্যই কাল ভেদ করলেন টাহ্। ট্রফি হাতে উৎসব শেষে জার্মান এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘এই দলের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। এতগুলো বছর পর এখানে কিছু জিততে পেরে আমি সত্যি খুব খুশি।’
হামবুর্গ থেকে টাহ্ লেভারকুসেনে নাম লিখিয়েছেন ২০১৫ সালে। গত মৌসুমের মাঝ থেকে খেলছেন আলোনসোর অধীনে। গত মৌসুমে একের পর এক ম্যাচ হেরে লেভারকুসেন যখন খাদের কিনারে, আলোনসোকে আপত্কালীন কোচ করে এনেছিল দলটি। এরপর গত মৌসুমে দলকে ষষ্ঠ স্থানে রেখে লিগ শেষ করেছিলেন। আর এবার কী রূপকথা রচনা করেছেন, সেটা সবারই জানা।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বুন্দেসলিগা জেতা লেভারকুসেনের সামনে এখন আরও দুটি শিরোপার হাতছানি—জার্মান কাপ ও ইউরোপা লিগ। এই দুটি শিরোপা জিততে পারলে পুরো মৌসুম অপরাজিত থাকার নতুন আরেক কীর্তিও গড়বে লেভারকুসেন।
আলোনসোর হাত ধরে এমন সাফল্য কীভাবে এসেছে, সেটা জানাতে গিয়ে টাহ্ বলেছেন, ‘জাবি আলোনসো অসাধারণ একজন কোচ। সেটা ট্যাকটিক্যালি এবং ব্যক্তি—দুই দিক দিয়েই। এ কারণেই আমরা এতটা সফল।’
আলোনসোর প্রশংসা করতে গিয়ে নিজেদের কথাও বললেন টাহ্, ‘ভালো খেলোয়াড় ভালো কোচ তৈরি করে। আমার অসাধারণ একটি স্কোয়াড আছে। আমাদের এখানকার প্রতিদিনের আবহই খুব ভালো। এমন সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’