মেসির সঙ্গে নেইমারও কি পিএসজি ছাড়বেন
এখনো কিছুই আনুষ্ঠানিক নয়। কোনো পক্ষই মুখ ফুটে কিছু বলেনি। কিন্তু পরিবেশ যে গুমোট, প্যারিসে তাকালেই বোঝা যায়। নেইমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছে পিএসজির উগ্র সমর্থকেরা। তাঁরা নেইমারকে আর পিএসজিতে দেখতে চান না।
পিএসজি কর্তৃপক্ষ নেইমার-লিওনেল মেসিসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের বাড়িতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। কিন্তু নেইমারকে কি ধরে রাখতে পারবে পিএসজি কিংবা সেই ইচ্ছেটা তাদের আছে কি না, সেটাও বড় প্রশ্ন। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম লেকিপ বলছে, পিএসজি ছাড়ার কথা ভাবছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
পিএসজির সঙ্গে নেইমারের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। লেকিপের দাবি, এত দিন পর্যন্ত নেইমার পিএসজিতে থাকতে চান কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন।
কারণ, সম্ভবত পিএসজির বর্তমান পরিস্থিতি। ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ায় তাঁর কাছের বন্ধু ও সতীর্থ মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফরাসি ক্লাবটি। মেসির সঙ্গে চুক্তিও আর নবায়ন করতে চায় না পিএসজি। অর্থাৎ মৌসুম শেষেই নতুন ঠিকানায় যেতে হবে আর্জেন্টাইন তারকাকে। আর পিএসজিও নাকি মেসি-নেইমারের ওপর থেকে নজর সরিয়ে ফ্রান্সের তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরুর কথা ভাবছে। এ পরিকল্পনায় ৩৫ বছর বয়সী মেসির মতো ৩১ বছর বয়সী নেইমারেরও জায়গা নেই।
তবে কিছুই এখনো আনুষ্ঠানিক নয়। ফরাসি সংবাদমাধ্যমে ওঠা গুঞ্জনটা সত্যি হবে কি না, তা ভবিষ্যতে জানা যাবে। তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নেইমার ক্লাব ছাড়তে চাইলে পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস সম্ভবত অসন্তুষ্ট হবেন না। লেকিপ ও স্পেনের সংবাদমাধ্যম কারুসেল দেপোর্তিভো জানিয়েছে, পিএসজি তাঁকে ধারে ছাড়তে রাজি আছে। তবে একটি শর্তও আছে। যে ক্লাব নেইমারকে ধারে নিতে চাইবে, পরে তাঁকে কিনেও নিতে হবে। পিএসজিতে নেইমারের যে বেতন আর চুক্তির মেয়াদ, তাতে শুধু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বড় কিছু ক্লাবই তাঁকে কেনার সামর্থ্য রাখে বলে মনে করছে সংবাদমাধ্যম।
ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ল্যান্স জানিয়েছে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কিছু ক্লাব নাকি নেইমারকে কিনতে আগ্রহী। এ ক্ষেত্রে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের নাম উঠে এসেছে সবার আগে। ২০২১ সালের শেষ দিকে সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মালিকানায় চলে আসে নিউক্যাসল।
যেহেতু পিএসজিতে নেইমারের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত, তাই সুযোগটা নিউক্যাসল নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সৌদি আরব সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অধীন আসায় নিউক্যাসলের সেই আর্থিক সক্ষমতা আছে বলে মনে করা হচ্ছে।