আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে এ নিয়ে পঞ্চমবার খেলতে এসেছে মোজাম্বিক। আগের চার আসরে খেলা ১২ ম্যাচে কোনো জয় ছিল না দলটির। এবার আসরের প্রথম ম্যাচেই সেই দলটির সামনে পড়েছিল মোহাম্মদ সালাহর টুর্নামেন্ট ফেবারিট মিসর।
ম্যাচের আগে তাই আলোচনার কোথাও ছিল না মোজাম্বিক। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দলটি কত বড় ব্যবধানে জিতবে তাই নিয়ে ছিল যত আলোচনা। তবে আলোচনার বাইরে থাকা মোজাম্বিক টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন প্রায় অঘটন ঘটিয়েই দিয়েছিল।
মিসরকে কাঁপিয়েই দিয়েছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি। শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ সালাহর পেনাল্টি গোলে কোনো রকমে হার এড়িয়েছে মিসর। ২-২ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি। দলের হার এড়ালেও এ ম্যাচে হয়তো পুরোপুরি মন ভরাতে পারেননি সালাহ। কিছু সুযোগ যে হাতছাড়া করেছেন!
এদিন প্রথম থেকে আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে ছিল মিসরই। প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল দলটির এগিয়ে যেতে সময় লাগে মাত্র ২ মিনিট। বাঁ পাশ থেকে আসা ক্রসে সালাহ চেষ্টা করেও ঠিকঠাক সংযোগ ঘটাতে পারেননি। তবে তাঁর পায়ের ছোঁয়ায় বল আসে মোস্তফা মোহাম্মদের কাছে। ভুল করেননি এই ফরোয়ার্ড। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
এগিয়ে গিয়েও ম্যাচে দাপট ধরে রাখে মিসর। আক্রমণ ও বলদখলেও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। এদিন সবার চোখ ছিল সালাহর ওপর। কিছুটা নিচে নেমে খেলা তৈরির কাজটাই করছিলেন লিভারপুল তারকা। যদিও সুযোগ পেলেই বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষের ওপর হুমকি তৈরির চেষ্টা করছিলেন এই উইংগার। প্রথমার্ধে অবশ্য ধরা দেয়নি কোনো সাফল্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল মিসরের। ম্যাচের রূপ বদলাতে যদিও সময় লাগেনি। ৫৫ মিনিটে মোজাম্বিক মিডফিল্ডার ডোমিঙ্গোসের দারুণ এক ক্রসে বল পেয়ে বুলেট হেডে জালে জড়ান উইটি। সমতায় ফিরে উজ্জীবিত মোজাম্বিকের এগিয়ে যেতে সময় লাগে ৪ মিনিট। এবার দলের হয়ে দারুণ এক গোল করেন ক্লেসিও বাক।
পিছিয়ে পড়ে মিসর চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। দারুণ কিছু আক্রমণও তৈরি করে তারা। কিন্তু তা দলকে সমতায় ফেরানোর জন্য মোটেই যথেষ্ট ছিল না। সবার চোখ ছিল সালাহ দারুণ কিছু করে মিসরকে ম্যাচে ফেরাতে পারেন কিনা সেদিকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই সালাহই হয়েছেন ত্রাতা। শেষ মুহূর্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে নিশ্চিত হারের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই তারকা।