গ্রুপ পর্বে আর খেলা হচ্ছে না নেইমারের
সার্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দারুণ এক জয় পেয়েও স্বস্তিতে নেই ব্রাজিল। রিচার্লিসনের জোড়া গোলে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা দলটিকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে নেইমারের চোট।
ডান পায়ের গোড়ালির চোটে ম্যাচের ৮০ মিনিটে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলিয়ান তারকা। বেঞ্চে বসে এ সময় নেইমারকে কাঁদতেও দেখা যায়। পরে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, নেইমারের গোড়ালির কাছাকাছি জায়গাটা বেশ বাজেভাবে ফুলে আছে।
সমর্থকদের মনে শঙ্কা থাকলেও ব্রাজিল কোচ তিতে আশ্বস্ত করেছিলেন, নেইমার খেলতে পারবেন পরের ম্যাচগুলোয়। তবে এবার জানা গেছে, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে না গেলেও গ্রু পপর্বের পরের ম্যাচে মাঠে নামা হবে না তাঁর। একই ধরনের চোটে পড়ায় নেইমারের মতো গ্রুপের বাকি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন দানিলোও।
নেইমারের চোটের পর ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লেসমার বলেছিলেন, ‘তার ডান পায়ের গোড়ালি মচকে গেছে। চোটের ভবিষ্যৎ জানতে ২৪–৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
পাশাপাশি নেইমারের আশপাশে থাকা লোকজন বলেছিলেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি বুঝতে আরও কিছু সময় লাগবে।
রয়টার্সসহ ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর দাবি, গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচে সুইজারল্যান্ড এবং ক্যামেরুনের বিপক্ষে নেইমার ও দানিলো খেলতে পারবেন না। এই ম্যাচগুলোতে বিরতি দিয়ে তাঁদের মূলত নকআউট পর্বের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
ব্রাজিলের দলের চিকিৎসক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘শুক্রবার বিকেলে নেইমার ও দানিলোর এমআরআই করা হয়েছে। দুই জনই গোড়ালিতে মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছে। তারা নিশ্চিতভাবে পরের ম্যাচে খেলতে পারছে না। তারা চিকিৎসার ভেতর দিয়ে যাবে এবং বিশ্বকাপে আবার খেলার জন্য তাদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করা হবে।’
এই দুই ম্যাচে নেইমারের ছিটকে যাওয়ার খবরের পর তাঁর বিকল্প কে হতে পারেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। সাবেক এই বার্সেলোনা তারকার বিকল্প হিসেবে রদ্রিগো কিংবা আন্তনির নাম শোনা যাচ্ছে।
কেবল এই তিনজন নন, ফ্রেদ কিংবা ব্রুনো গিমারেসকেও দেখা যেতে পারে ব্রাজিলের শুরুর একাদশে। মূলত তিতের দলের গভীরতা বাড়তি ভরসা দিচ্ছে ব্রাজিল সমর্থকদের।