ম্যাচটা কঠিন পরীক্ষাই ছিল আসলে লিভারপুলের জন্য।
একে তো প্রতিপক্ষ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এভারটন। খাদের কিনারে চলে গিয়েও যারা আগের ম্যাচে নতুন কোচ শন ডাইকের অধীনে প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছিল আর্সেনালকে।সেই আত্মবিশ্বাস এই ম্যাচেও নিশ্চয়ই সঙ্গী ছিল এভারটন খেলোয়াড়দের।
অন্যদিকে লিভারপুল আজ এই মার্সিসাইড ডার্বির আগে এই বছর প্রিমিয়ার লিগে কোনও ম্যাচই জেতেনি। খেলোয়াড়দের সমালোচনা হচ্ছে, সমালোচনা হচ্ছে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপেরও। এমন অবস্থাই নিজেদের সেরাটা দেওয়াও তো কঠিন।
ক্লপের দল সেই কঠিন কাজটাই করল। মো সালাহ ও কোডি গাকপোর গোলে এভারটনকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে লিগে বছরের প্রথম জয় পেল লিভারপুল। সর্বশেষ ৪ ম্যাচে তিন হার ও এক ড্রয়ের পর এই জয়টা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস দেবে অল রেডদের।
এ জয়ে ২১ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের ৯ নম্বরে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের ২১ ম্যাচে পয়েন্ট ৫১, দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৪৮। হেরে অবনমন অঞ্চলেই রয়ে গেছে এভারটন, ২২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ওরা লিগের ১৮ নম্বরে।
এভারটন শুরুটা করেছিল আগের ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে পাওয়া জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়েই। প্রথম গোলটাও আসলে ওরাই পেতে পারত। কিন্তু কর্নার থেকে আসা বলে এভারটন ডিফেন্ডার জেমস তারকাভস্কির হেড ফিরে আসে পোস্টে লেগে। এর ১৮ সেকেন্ড পরেই বাঁ পাশ থেকে প্রতি আক্রমনে দারউইন নুনিয়েজ দারুণ বল বাড়ান মো সালাহর দিকে। বড় ভুলটা করেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। বল সালাহর কাছে না গিয়ে গাকপোর কাছে যেতে পারে ভেবে জায়গা ছেড়ে অনেকটুকু বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। সালাহর শট চলে যায় তাঁর মাথার উপর দিয়ে। এই গোলটা ছাড়া অবশ্য প্রথমার্ধে আক্রমনভাগে গিয়ে লিভারপুল খুব একটা ভালো খেলতে পারেনি। তবে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যায় ক্লপের দল।
বিরতির পর মাঠে ফিরে ৪ মিনিটের মধ্যেই আলেকজান্ডার-আরনল্ডের ক্রস থেকে ব্যবধান বাড়ান গাকপো। লিভারপুলের জার্সিতে এটি ২৩ বছর বয়সী ডাচ ফরোয়ার্ডের প্রথম গোল। ওই গোলটাই আসলে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় এভারটনকে। এরপর যত সময় গড়িয়েছে, লিভারপুল তত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে নিয়েছে। ব্যবধান কমানোর আর সুযোগই ওই অর্থে পায়নি শন ডাইকের দল।
শনিবার নিউক্যাসলের বিপক্ষে লিগে নিজেদের পরের ম্যাচটা খেলবে লিভারপুল। একই দিনে এভারটনের পরের প্রতিপক্ষ লিডস।