বার্সেলোনা প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে যাবে আর ফিরবে ১ গোলের ব্যবধানে জিতে—লা লিগার চলতি মৌসুমে এটাই যেন নিয়ম। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হলো না আজও। ভিয়ারিয়ালকে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ১–০ গোলে হারিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে ১ গোলের ব্যবধানে জয়ের ডাবল হ্যাটট্রিক করে ফেলল জার্ভি হার্নান্দেজের বার্সা।
১৮ মিনিটে পেদ্রির দেওয়া একমাত্র গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। তাতে ২১ ম্যাচ খেলেই নিকটপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গেল কাতালান পরাশক্তিরা। বার্সা অবশ্য রিয়ালের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। লিগে টানা ষষ্ঠ জয় পাওয়া বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫৬। পঞ্চমবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতা রিয়ালের পয়েন্ট ২০ ম্যাচে ৪৫।
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জয়টি অবশ্য সহজে পায়নি বার্সা। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বার্সেলোনাকে তটস্থ থাকতে হয়েছে গোল খাওয়ার ভয়ে। ৯০তম মিনিটে তো বার্সার জালে বল পাঠিয়েওছিল ভিয়ারিয়াল। তবে লাইন্সম্যানের অফসাইড পতাকা নাকচ করে দেয় সেই সামু চুকুয়েজের করা সেই গোল।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে তো আরেকবার বার্সা বাঁচে রক্ষণভাগের দৃঢ়তায়। রোনালদ আরাউহো কর্নারের বিনিময়ে বাঁচিয়েছেন এবার। আর একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টির দাবিতে রেফারিকে ঘিরে ধরেছিলেন ভিয়ারিয়ালের খেলোয়াড়েরা। জুলস কুন্দের হাতে লেগেছে বল, এই দাবি করেন তাঁরা। তবে ভিএআর জানিয়ে দেয় পেনাল্টি দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন সেই রায় শুনেই। আর তাতেই নিশ্চিত হয় ভিয়ারিয়ালের টানা তৃতীয় হার।
শেষ মুহূর্তের সেই বাঁচানোর মতো পুরো ম্যাচে চীনের প্রাচীর হয়েছিলেন আরাউহো। বার্সার গোলরক্ষক মার্ক–আন্দ্রে টের স্টেগেনও কম যাননি। ভিয়ারিয়ালের আক্রমণগুলো বারবারই থেমেছে আরাউহো আর টের স্টেগেনের বাধায়।
গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে বার্সেলোনাও। রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া ও পেদ্রিদের আরও গোল করতে দেননি ভিয়ারিয়ালি গোলরক্ষক পেপে রেইনা। তবে ১৮ মিনিটে পেদ্রিকে ঠেকাতে পারেননি রেইনা। লেভার অসাধারণ এক পাস থেকে গোল করেন পেদ্রি। ২০ বছর বয়সী পেদ্রির এবারের লিগে এটি ষষ্ঠ গোল।
আর লিগে টানা ষষ্ঠ জয়ে ২০১৯ সালের পর প্রথমবার লিগ জয়ের পথে বার্সা এগিয়ে গেল আরেকটু।