২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিশ্বকাপ শেষেও আর্জেন্টিনা–সৌদি আরবের লড়াই

আরেকটি পুরস্কার জিততে পারে আর্জেন্টিনাছবি: রয়টার্স

২০২২ সালের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ১৪ ফুটবলার। মনোনয়নে প্রত্যাশিতভাবেই বিশ্বকাপজয়ী মেসি আছেন। আছেন মেসির আর্জেন্টাইন সতীর্থ ও ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজও। প্রত্যাশিতভাবে মেসি যেমন আছেন, তেমনি সেরা গোলরক্ষক বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

সেরা কোচের মনোনয়নে আছেন কোচ লিওনেল স্কালোনিও। এর বাইরে আরও একটি পুরস্কার জেতার সুযোগ আছে আর্জেন্টিনার। সেটি অবশ্য মাঠের খেলা–সম্পর্কিত নয়। ফিফার এই পুরস্কারের নাম—ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড। সেখানে মনোনয়ন পেয়েছে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের একটি দল।

আরও পড়ুন

ফিফার এই অ্যাওয়ার্ড জিততে পারেন কোনো নির্দিষ্ট একজন সমর্থক কিংবা সমর্থকদের কোনো একটি দল। কাতার বিশ্বকাপ দেখতে আর্জেন্টিনা থেকে সুদূর কাতারে গিয়েছিলেন একদল আর্জেন্টাইন সমর্থক।

৩৬ বছরের আক্ষেপ নিয়ে কাতারে যাওয়া সেই আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা ফিরেছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের এই অ্যাওয়ার্ড জিততে হলে লড়াই করতে হবে জাপানের সমর্থকদের সঙ্গে।

সৌদি আরবের ফুটবল ভক্ত আল সালমিও আছেন লড়াইয়ে
ছবি: ফিফা

খেলোয়াড়দের মতো জাপানের সমর্থকেরাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিশ্বাসী। বিশ্বকাপে কাতার-ইকুয়েডর উদ্বোধনী ম্যাচ শেষে দুই দলের সমর্থকেরা চলে গেলেও জাপানের কিছু ফুটবলপ্রেমী নিজ উদ্যোগে গ্যালারির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন। আর নিজেদের প্রতিটি ম্যাচের পর জাপানের সমর্থকেরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বিশ্বকাপে।

জাপান আর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন সৌদি আরবের আবদুল্লাহ আল সালমি। যিনি ৫৫ দিনে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার মরুভূমিতে হেঁটে সৌদি আরবের খেলা দেখতে কাতারে গিয়েছেন। দেখা যাক, বিশ্বকাপের মতো এখানেও আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারে কি না সৌদি আরব। নাকি এই দুই দেশের সমর্থকদের হারিয়ে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার প্রতীক জাপানই জিতবে ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড।

আরও পড়ুন

তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফিফার সদস্যদেশগুলোর কোচ, অধিনায়ক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং সমর্থকেরা ১২ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোট দেবেন। ভোটাভুটি শেষে ২৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

২০১৬ সালে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু করে ফিফা। প্রথম বছর এই অ্যাওয়ার্ড পান বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লিভারপুলের সমর্থকেরা। সর্বশেষ ২০২১ সালে এই অ্যাওয়ার্ড ওঠে ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের সমর্থকদের হাতে।