বাফুফের এলিট একাডেমির প্রধান কোচ হলেন গোলাম রব্বানী

এক বছরের জন্য 'হেড অব ইয়ুথ অ্যান্ড বিএফএফ এলিট একাডেমি' পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে গোলাম রব্বানীকেবাফুফে

২০২৩ সালের মে মাসে বাফুফের চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। বাফুফের বিরুদ্ধে তখন পরোক্ষে নানা অভিযোগও আনেন। সেই গোলাম রব্বানী ১৯ মাস পর ফিরেছেন বাফুফেতে। তাঁকে এক বছরের জন্য 'হেড অব ইয়ুথ অ্যান্ড বিএফএফ এলিট একাডেমি' পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গোলাম রব্বানীকে কোচ করার খবর নিশ্চিত করে বাফুফের সহসভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘তিনি দ্রুতই দায়িত্ব নেবেন। সামনে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে বাফুফের এলিট একাডেমি খেলবে। সেটির জন্য দল তৈরি করবেন এখন। তা ছাড়া বাফুফের ডেভেলপমন্টে কাজও দেখবেন। তাঁর অধীন কয়েকজন সহকারী কোচ থাকবেন।’

২০২২ সালে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবার সিনিয়র বিভাগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে গোলাম রব্বানীর অধীন। এরপর বাফুফের চাকরি ছেড়ে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দলের কোচ হিসেবে যোগ দেন। সেখানে নারী ও পুরুষ দুটি দলই দেখতেন। তবে গোলাম রব্বনী নারী ফুটবলের কোচ হিসেবেই বেশি পারিচিতি এবং বাংলাদেশের নারী ফুটবলে বেশির ভাগ সাফল্যও এসেছে তাঁর হাত ধরেই।

গোলাম রব্বানী ২০০৮ সালে পুরুষ জাতীয় দলের সহকারী কোচ ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে নারী ফুটবলের দায়িত্ব দেয় বাফুফে। সেই থেকে লম্বা সময় পার করেছেন নারী কোচ হিসেবে। সেটিতে এখন ছেদ টেনে আবার ছেলেদের কোচিংয়ে ফিরেছেন। এ নিয়ে গোলাম রব্বানী রোমাঞ্চিত, ‘জাহেদী সাহেবকে ধন্যবাদ, তিনি আমাকে বাফুফেতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাফুফেতে ফেরার ইচ্ছা তো ছিলই। আমি মনে করি নতুন করে পথচলা শুরু হলো আমার।’

আরও পড়ুন
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ ছিলেন গোলাম রব্বানী
প্রথম আলো

ঠিক করেছেন নিজের লক্ষ্যও, ‘যুব ফুটবলে উন্নয়নের অনেক সুযোগ আছে। তাই আশা থাকবে আমার অধীনে ছেলেরা যেন উন্নতি করে। মূল লক্ষ্যও থাকবে সেটাই। পারফরম্যান্সের উন্নতি নিয়ে কাজ করার দিকে জোর দেব। এ ব্যাপারে বাফুফে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আমি এই দায়িত্বেও সফল হব।’