টুখেলের জন্য সমর্থন চেয়ে গার্দিওলা বললেন, কোথায় জন্মগ্রহণ করব, তা আমরা ঠিক করি না
গ্যারেথ সাউথগেট ইংল্যান্ড কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর পেপ গার্দিওলার নামই শোনা যাচ্ছিল জোরের সঙ্গে। একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইংল্যান্ডের পরবর্তী কোচ হিসেবে তাঁর নামটা একরকম ঘোষণা করে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে হঠাৎ করেই বদলে যায় হাওয়া। গার্দিওলা নন, ইংল্যান্ডের নতুন কোচ নির্বাচিত হন টমাস টুখেল। চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো জার্মান এই কোচকেই এখন দেখা যাবে ইংল্যান্ডের ডাগআউটে।
এর মধ্যে ইংল্যান্ডের নতুন কোচ টুখেলকে নিয়ে কথা বলেছেন আলোচনায় থাকা গার্দিওলা। ইংল্যান্ড দলে টুখেলের নিঃশর্ত সমর্থন প্রাপ্য বলেও মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি কথা বলেছেন নিজের ভবিষ্যৎ এবং জাতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রসঙ্গেও।
নানা নাটকীয়তার পর ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব নেওয়া টুখেল দেশটির তৃতীয় বিদেশি কোচ। এর আগে বিদেশি কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডকে কোচিং করিয়েছিলেন সুইডেনের সভেন–গোরান এরিকসন ও ইতালির ফাবিও কাপালো। সাউথগেট বিদায় নেওয়ার পর বোর্ডের কর্মকর্তা থেকে সমর্থকদের অনেকের পছন্দ ছিল দেশি কোচ।
গার্দিওলার মতো কেউ হলে অবশ্য ছাড় দিতেও রাজি ছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন টুখেল কোচ হওয়ার পর তাঁর নিয়োগ তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনেকে মনে করছেন, দেশি কোচই ইংল্যান্ডের জন্য ভালো ছিল। এর মধ্যে মজা করে নিজের জার্মান পাসপোর্টের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া টুখেল।
তবে টুখেলকে নিয়ে এসব বিতর্ক বাদ দিয়ে তাঁর জন্য নিঃশর্ত সমর্থন চাইলেন গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির এই কোচ বলেছেন, ‘আমরা কোথায় জন্মগ্রহণ করব, তা আমরা ঠিক করি না। মা–বাবা সিদ্ধান্ত নেন আর আমরা পৃথিবীতে আসি। কাতালান হওয়ার সিদ্ধান্ত আমার ছিল না। আপনিও ইংলিশ বিষয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নেননি। ফেডারেশন দারুণ রেকর্ড–সম্পন্ন একজন বিদেশি কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে, তাকে আমার বিনাশর্তে সমর্থন দেব। যদি সে জেতে, তবে সে প্রশংসিত হবে, আর হারলে সমালোচিত হবে। তবে এটার সঙ্গে তার জাতীয়তার কোনো সম্পর্ক নেই।’
বিদেশি কোচ নিয়োগের বিতর্ক নিয়ে গার্দিওলা আরও বলেছেন, ‘আমি জানি আমরা যেখান থেকে আসি, সেটা নিয়ে গর্বিত। কিন্তু এই পৃথিবী অনেক বড়। আপনাকে মানসিকভাবে উদার হতে হবে। কেউ একজন ভিন্ন জায়গায় জন্মগ্রহণ করেছে বলে তাকে নিয়ে সমালেোচনা করতে হবে, সেটা আমি বিশ্বাস করি না।’
শোনা যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন গার্দিওলা। বিষয়টির সত্যতা এবং এফএর সঙ্গে আলাাপ নিয়ে জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেছেন, ‘টমাস টুখেল এখন কোচ। বাকি সব ভুলে যান। আর আমি ম্যানচেস্টার সিটি কোচ। এটাই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বাকি সব অগুরুত্বপূর্ণ।’
নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন গার্দিওলা, ‘আমি অনেকবার বলেছি, আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি সিদ্ধান্ত নিলেই আপনাদের জানাব। আমি উলভসের বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। আমি নিশ্চিত পেপ চলে গেলে বিকল্প কোচ ক্লাবের হাতে আছে। আগে–পরে এটা হবে এবং তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’