‘আমরা মেসিকে ভয় পাই না’

মরক্কোর বিপক্ষে গোলের পর থিও হার্নান্দেজছবি: রয়টার্স

কীর্তিটা সর্বশেষ ১৯৬২ বিশ্বকাপে গড়েছিল ব্রাজিল। টানা দুবার বিশ্বকাপজয়ী সর্বশেষ দেশ হিসেবে। এরপর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চার বছর পর ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও পারেনি আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলও সুযোগ পেয়েছে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৯৮ আসরের ফাইনালে গিয়ে হেরেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের সেই সুযোগ এখন ফ্রান্সের সামনে। কাল রাতে সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২–০ গোলে হারিয়ে ২০১৮ সালের পর আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সামনে বাধা এখন আর্জেন্টিনা।

আরও পড়ুন

অন্য সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩–০ গোলে হারিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের খরা শিরোপাখরা কাটানোর পথে কিলিয়ান এমবাপ্পে যেমন বাধা, তেমনি লিওনেল মেসিও ফ্রান্সের বাধা। শিরোপা জিততে হলে আর্জেন্টিনাকে যেমন এমবাপ্পেকে বোতলবন্দী রাখার কৌশল আঁটতে হবে, ফ্রান্সকেও তেমনি মেসিকে আটকানোর পথ বের করতে হবে। মরক্কোর বিপক্ষে কাল ফ্রান্সকে প্রথম গোল এনে দেওয়া লেফটব্যাক থিও হার্নান্দেজকে আলাদা করেই সেই পরীক্ষা দিতে হবে। তাঁর প্রান্ত দিয়েই যে আক্রমণে উঠবেন মেসি।

ফ্রান্সের ফাইনালে ওঠার পথে দারুণ খেলেছেন হার্নান্দেজ
ছবি: রয়টার্স

টুর্নামেন্টে এরই মধ্যে ৫ গোল করার সঙ্গে ৩ গোল বানিয়েছেন মেসি। তাঁর মতো প্রতিপক্ষ নিয়ে যে কারও দুশ্চিন্তায় পড়ার কথা। কিন্তু হার্নান্দেজ বোঝালেন তিনি অন্য ধাতে গড়া। ইতালির সংবাদমাধ্যম ‘রাই স্পোর্ত’কে এসি মিলান তারকা বলেছেন, ‘আমরা লিওনেল মেসিকে ভয় পাই না।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

লুসাইল স্টেডিয়ামে রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এ ম্যাচ সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুতির কথাই জানালেন হার্নান্দেজ। মরক্কোর বিপক্ষে জয়ের পর বলেছেন, ‘এখন ফাইনাল নিয়ে ভাবতে হবে। রোববারের জন্য ফিট হয়ে উঠতে হবে। আমরা মেসিকে ভয় পাই না। আর্জেন্টিনা অসাধারণ এক দল। তবে নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিতে আমরাও প্রস্তুত থাকব।’

বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ দল হিসেবে শিরোপা জয়ের পরের আসরে ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ইতালি (১৯৩৪ ও ১৯৩৮), ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৯৪ ও ১৯৯৮) ও আর্জেন্টিনা (১৯৮৬ ও ১৯৯০) এর আগে এই নজির গড়েছে। হার্নান্দেজ এই পথ পর্যন্ত উঠে আসতে ক্লান্তি অনুভব করলেও ফাইনালে উঠতে পেরে আনন্দিত, ‘দুটি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা অসাধারণ ব্যাপার। পথটা কঠিন হলেও আমরা ভালো খেলেছি। হ্যাঁ, আমি ক্লান্ত তবে এখন ফাইনাল নিয়ে ভাবার সময়।’