মেসির নামে তাঁর জন্মস্থানের নাম চান বাসিন্দারা
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ফুটবল জিতে সাফল্যের চূড়া স্পর্শ করেছিলেন লিওনেল মেসি। ফুটবল জেতা সম্ভব—এমন প্রায় সবকিছুই এখন আছে মেসির ঝুলিতে। বিশ্বকাপ জয়ের পর একাধিকবার ফুটবলে আর কোনো চাওয়া–পাওয়া নেই বলেও জানিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু নিজের আকাঙ্ক্ষা না থাকলেও মেসির প্রাপ্তির ভান্ডারটা যেন ভরেই চলেছে। এবার মেসির সেই প্রাপ্তির খাতায় যোগ হলো অন্য রকম অর্জন। নিজ জন্মস্থানের একটি শহরের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে মেসির নাম।
১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনা সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে। এরপর ঠিক ৩৬ বছরের মাথায় এসে লিওনেল মেসি আবারও বিশ্বকাপ জেতান আর্জেন্টিনাকে। তবে বিশ্বকাপ জেতার পথটা মেসির জন্য মোটেই সহজ ছিল না। একের পর এক ব্যর্থতা পথ আগলে ধরেছিল। ব্যর্থতায় আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ও বলে দিয়েছিলেন। নিজ দেশেই যে কঠিন সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু সেসব ভুলে ঠিকই ফিরে আসেন মেসি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এনে দেন তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। যে মেসিকে একসময় আর্জেন্টিনায় ‘খলনায়ক’ হিসেবে দেখা হচ্ছিল, তিনি এখন সেখানে নায়কদেরও নায়ক। মেসিকে এখন তাঁর জন্মস্থানও দিতে চায় অন্য রকম এক সম্মান। আর্জেন্টিনার যে প্রদেশে তাঁর জন্ম, সেই সান্তা ফের একটি শহরের একাংশের নামকরণ করা হচ্ছে তাঁর নামেই।
সান্তা ফের একটি এলাকার নাম বারিও রাফায়েল। এই এলাকার বাসিন্দারা সম্প্রতি তাঁদের এলাকার নাম মেসির নামে যেন হয়, সে জন্য ভোট দিয়েছেন। এলাকাটি গত এপ্রিলে তৈরি হয়েছে। আর এতে বাসিন্দারা বসবাস শুরু করেছেন।
তবে বাসিন্দারা মেসির নামে নামকরণ চাইলেও এটি বাস্তবে পরিণত হতে কিছু আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণে এটি চট করেই হয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। এটি এখন রাফায়েলের পৌর কার্যালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শুধু মেসির নামেই নয়, অন্যান্য কয়েকটি নামও প্রস্তাবে আছে। সেগুলোও খতিয়ে দেখছে পৌর কার্যালয়। এদিকে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসকে এলাকার এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য অর্জনের পথে।’