‘ভুলে ভরা’ দে হেয়াকে রেখে দিতে চান টেন হাগ
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেই হারিয়ে ফেলার অভ্যাস পুরোনোই দাভিদ দে হেয়ার। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এক যুগ কাটাতে চললেও এটা বদলাতে তো পারেনইনি, বরং এ মৌসুমে দলকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
এপ্রিলে দে হেয়ার ‘শিশুতোষ’ ভুলেই ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ে ইউনাইটেড। আর গত রাতের ভুলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরাটাই কঠিন হয়ে পড়ল।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কাল ওয়েস্ট হামের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ইউনাইটেড। এই হারের পরও ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ চারের মধ্যে থাকলেও অবস্থানটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। পাঁচে থাকা লিভারপুল যে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে।
ঘরের মাঠ লন্ডন স্টেডিয়ামে শুরুর দিকে ইউনাইটেডের আক্রমণভাগের চাপ সামলে নিজেদের গুছিয়ে নেয় ওয়েস্ট হাম। ২৭ মিনিটে বলার মতো প্রথম আক্রমণেই গোল পেয়ে যায় তারা। এর পুরো দায় দে হেয়ার। ওয়েস্ট হামের আলজেরিয়ান উইঙ্গার সাইদ বেনরাহমার ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে ছিল না তেমন গতি। বল দে হেয়ার নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে গিয়ে গুবলেট পাকান ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষক। বল গড়িয়ে আশ্রয় নেয় জালে!
মৌসুমে এ নিয়ে চারবার দে হেয়ার ভুলে হারল ইউনাইটেড। বারবার দলের সর্বনাশ ডেকে আনায় দে হেয়াকে আর ওল্ড ট্রাফোর্ডে দেখতে চান না ক্লাবটির সমর্থকেরা। এ মৌসুমে শেষে ‘রেড ডেভিল’দের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদও ফুরাবে তাঁর। কিন্তু এরিক টেন হাগ ম্যাচ শেষে যা শোনালেন, তাতে সমর্থকদের হতাশই হওয়ার কথা। দে হেয়ার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করে তাঁকে রেখে দিতে চান ইউনাইটেড কোচ! ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই সে থেকে যাক। আমরা ওর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাই।’
আলাদা করে বিটি স্পোর্টের সঙ্গেও দে হেয়ার ব্যাপারে কথা বলেন টেন হাগ, ‘ভুল ফুটবলেরই অংশ। আপনাকে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই হবে, ঘুরেও দাঁড়াতে হবে। কারণ, এটা একটা দলীয় খেলা। আপনারা ওর ভুলের কথা বলছেন। কিন্তু কয়েক মৌসুম ধরে সে সবচেয়ে বেশি ক্লিনশিট রাখা গোলকিপারদের একজন। ফুটবলে এমন ভুল হতে পারে। তবে ভুলের দায় নিজেকেই নিতে হবে।’
প্রিমিয়ার লিগের বাকি গোলকিপারদের তুলনায় ভুলটা দে হেয়া একটু বেশিই করেন! সর্বশেষ ৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে দে হেয়ার চেয়ে ভুলে ইউনাইটেড ১১টি গোল খেয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে খারাপ অবস্থা শুধু জর্ডান পিকফোর্ডেরই। ইংল্যান্ডের এই গোলকিপারের ভুলে প্রিমিয়ার লিগে গত ৫ মৌসুমে তাঁর দল খেয়েছে ১৩টি গোল।