‘আন্ডারডগ’ শ্রীলঙ্কার ভালো করার রহস্য কী
গত জুলাইয়েও ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট কাটতে বাছাইপর্ব খেলেছে শ্রীলঙ্কা। এখনো আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে দলটির অবস্থান পেছনের দিকে (৮)। তবে সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা বাংলাদেশ আর র্যাঙ্কিংয়ে অনেকখানি এগিয়ে থাকা পাকিস্তানকে টপকে দ্বীপদেশটিই এখন এশিয়া কাপের ফাইনালে।
এবারের এশিয়া কাপ শুরুর মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ ছিল শীর্ষ সারির কয়েকজন পেস বোলার ও তারকা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতিও। ডানহাতি পেসার দুষ্মন্ত চামিরা, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশঙ্কা আর লেগ স্পিন অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছিটকে যান চোটের কারণে। এমন পরিস্থিতির পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে দাসুন শানাকার দলের এশিয়া কাপ ফাইনালে ওঠার রহস্য কী, এমনটাই জিজ্ঞাসা অনেকের।
আগামীকাল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ১৬ আসরে এটি শ্রীলঙ্কার ১২তম ফাইনাল। এর মধ্যে সর্বশেষ আসরসহ ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
আরেকটি শিরোপানির্ধারণী মঞ্চে নামার আগে আজ কলম্বোয় সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক শানাকা। অপেক্ষাকৃত তরুণ দল নিয়ে শ্রীলঙ্কার ফাইনালে ওঠার রহস্য কী, এমন প্রশ্নে খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতার কথা তুলে এনেছেন অধিনায়ক, ‘ছেলেরা দেশের জন্য কিছু করতে চায়। দল হিসেবে আমরা আন্ডারডগ। (যে কারণে) সবাই চায় নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে। বিশ্বকে এই তরুণেরা দেখাতে চায় যে তারা পারে। এটাই এই দলের (সাফল্যের) রহস্য।’
সুপার ফোর পর্বে তিন ম্যাচের দুটিতে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১ রানে, পাকিস্তানের বিপক্ষে (ডিএলএস পদ্ধতিতে) ২ উইকেটে।
ভারতের বিপক্ষেও জয়ের ভালো সম্ভাবনা ছিল, বিশেষ করে বোলাররা রোহিত শর্মাদের ২১৩ রানে আটকে দেওয়ার পর। যদিও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৪১ রানে হেরে যেতে হয়। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অভিজ্ঞ ও ফর্মে থাকা বোলারদের হারিয়ে ফেলার পরও শ্রীলঙ্কা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে ফাইনালেও তরুণদের জ্বলে ওঠায় আশাবাদী শানাকা।
অবশ্য ফাইনালের আগে অফস্পিনার মহীশ তিকশানাকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া এই স্পিনারের জায়গায় লেগ স্পিনার দুশান হেমন্তের একাদশে থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ফাইনালের একাদশ নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভাবার সুযোগ আছে বলে মনে করেন, ‘একাদশ নির্ভর করবে পিচের ওপর। এই টুর্নামেন্টে পিচের ভূমিকা আছে। আর উইকেটের আচরণ অনুসারেই আমরা ভালো দল গড়ছি। বিশেষ করে বোলিং উইকেটে। শুরুতেই কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ম্যাচ আমাদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে। এটাই আমাদের পরিষ্কার পরিকল্পনা।’