আর্সেনাল ৬: ০ লাঁস
শেষ ষোলোয় উঠতে স্রেফ ড্র-টাই দরকার ছিল আর্সেনালের। আর ‘প্রতিশোধ’ নিতে দরকার ছিল এক গোল ব্যবধানে জয়, কারণ প্রথম লেগে লাঁসের মাঠ থেকে হার নিয়ে ফিরতে হয়েছিল।
কিন্তু আজ এমিরেটসে মিকেল আরতেতার দল যা করেছে, তা দরকার মেটানো এবং ‘প্রতিশোধ গ্রহণ’ তো বটেই, সঙ্গে আরও অনেক বড় কিছুও এনে দিয়েছে আর্সেনালকে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোল করেছেন আর্সেনালের পাঁচজন খেলোয়াড়। কোনো ইংলিশ ক্লাবের ম্যাচের প্রথমার্ধে ৫ গোলে এগিয়ে থাকার ঘটনাও এটিই প্রথম।
আর্সেনাল অবশ্য ৫ গোলেই থামেনি, দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল করে মাঠ ছেড়েছে ৬-০ ব্যবধানের জয়ে। এ জয়ে ৫ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হিসেবে শেষ ষোলোয় জায়গা নিশ্চিত করেছে মিকেল আরতেতার দল। গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার লড়াইটা এখন পিএসভি (৮ পয়েন্ট) ও লাঁসের (৫ পয়েন্ট)।
এমিরেটসের ম্যাচটিতে আর্সেনালকে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৩তম মিনিট পর্যন্ত। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বল গোলমুখের কাছে থেকে জালে জড়ান কাই হাভার্টজ। প্রথম গোলের পরের ১৩ মিনিটের মধ্যে আর্সেনাল পেয়ে যায় আরও তিন গোল। এর মধ্যে বুকায়ো সাকার সহায়তায় ২১তম মিনিটে জেসুস, ২৩ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলির সহায়তা সাকা আর ২৭ মিনিটে তাকিহিরো তোমিয়াসুর সহায়তায় মার্তিনেলি গোল করেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে তোমিয়াসুর দারুণ ক্রস থেকে বল নিয়ে আর্সেনালকে পঞ্চম গোল এনে দেন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আর্সেনালের ষষ্ঠ গোলটি করেন জর্গিনহো।
রিয়াল মাদ্রিদ ৪ ঃ ২ নাপোলি
এমিরেটসের আর্সেনাল-লাঁস ম্যাচের মতো ৬ গোল দেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ-নাপোলি এবং বেনফিকা-ইন্টার মিলান ম্যাচও। ‘সি’ গ্রুপ থেকে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল রিয়াল। কার্লো আনচেলত্তির দল আজ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নাপোলিকে হারায় ৪-২ গোলে।
রিয়ালের চার গোল করেন রদ্রিগো, জুড বেলিংহাম, নিকো এবং জোসেলু। নাপোলির হয়ে গোল করেন জিওভান্নি সিমিওনে এবং জামবো অ্যাঙ্গুইসা। এই হারের পরও অবশ্য নাপোলির নকআউটের আশা টিকে আছে। কারণ, গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইউনিয়ন বার্লিনের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে ব্রাগা। ৫ ম্যাচে নাপোলির পয়েন্ট ৭, ব্রাগা ৪, বার্লিন ২।
বেনফিকা ৩ ঃ ইন্টার মিলান
‘ডি’ গ্রুপের খেলায় ইন্টার মিলান বেনফিকার মাঠে নেমেছিল আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে। বিপরীতে প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই হেরে বেনফিকারও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তবে নিজেদের মাঠে ইন্টার মিলানকে বড় পরীক্ষাতেই ফেলেছে বেনফিকা। বিশেষ করে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও মারিও, যিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ইন্টারেরই খেলোয়াড় ছিলেন। মারিও তাঁর সাবেক দলের বিপক্ষে ৫ মিনিটে প্রথম, ১৩ মিনিটে দ্বিতীয় আর ৩৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক গোলই তুলে নিয়েছেন। প্রথমার্ধে তিন গোলে পিছিয়েই বিরতিতে যায় ইন্টার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ইতালিয়ান ক্লাবটিও তিন গোল তুলে নেয়। তিনটিই অবশ্য ভিন্ন খেলোয়াড়ের মাধ্যমে-আরনতোভিচ (৫১), ফ্রাত্তেসি (৫৮) ও অ্যালেক্সি সানচেজ (৭২)।
এই গ্রুপের অপর ম্যাচ রিয়াল সোসিয়েদাদ-সালজবুর্গের মধ্যে কেউ জিততে পারেনি। খেলা শেষ হয়েছে গোলশূন্য সমতায়। ইন্টার মিলানের মতো সোসিয়েদাদও আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলায় ফলের কোনো ভূমিকা নেই।