ফিলিস্তিনকে প্রথমার্ধে গোল করতে দেয়নি বাংলাদেশ
প্রবল প্রতিপক্ষ ফিলিস্তিনকে প্রথমার্ধে আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আজ দুই দলের ফিরতি ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট কেটেছে গোলশূন্য।
তবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের সহজ সুযোগটা পেয়েছে বাংলাদেশই। ৪৪ মিনিট জামাল ভূঁইয়ার থ্রু থেকে গোল করার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তাঁর শট ফিলিস্তিন গোলকিপারের গায়ে লেগে ফিরে আসে।
এই আক্রমণ ছাড়াও বাংলাদেশ আরও দুই–তিনটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করা যায়নি। একবার ফয়সাল আহমেদের শট যায় বাইরে। ফয়সাল আরেকটু বিচক্ষণ হতে পারলে গোল আসা অসম্ভব ছিল না। এ ছাড়া অধিনায়ক জামালের দুটি ফ্রি কিক গেছে বাইরে।
ফিলিস্তিন প্রথমার্ধে সেভাবে সহজ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে চেষ্টা করেছে তারা। বাংলাদেশের ডিফেন্সিভ থার্ডে বেশ কিছু পাস খেলে গোলে শট নেওয়ার রাস্তার তৈরি করেছে। দুই একবার শটও নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মারমা ছিলেন প্রস্তুত। দুটি ভালো সেভ করেন তিনি।
২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে কুয়েতের ম্যাচে হাভিয়ের কাবরেরার একাদশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেদিন তপু বর্মণের সঙ্গে প্রথাগত সেন্টারব্যাক ছিলেন না। রাইট ব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষকে রাখা হয় সেন্টার ব্যাক হিসেবে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়। এবার আর ভুল করেননি বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিরতি ম্যাচের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছেন। সেন্টারব্যাকে তপু বর্মণের সঙ্গে রেখেছেন প্রথাগত আরেক সেন্টারব্যাক শাকিল হোসেনকে। প্রথমার্ধে ভালোই করেছে বাংলাদেশের রক্ষণ।
আজ মাঝমাঠে আনা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় আগের ম্যাচে সিনিয়র সোহেল রানা ছিলেন না। আজ তিনি ফিরেছেন জুনিয়র সোহেল রানার জায়গায়। কুয়েতের ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা গোলের সুযোগটা নষ্ট করেন জুনিয়র সোহেল রানাই। আজ তাঁকে বাইরে রেখে অভিজ্ঞ সোহেল রানাকে বেছে নিয়েছেন কোচ।
বাংলাদেশ একাদশ:
মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, শাকিল হোসেন, বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদউদ্দিন, জামাল ভুঁইয়া , মোহাম্মদ হৃদয়, সিনিয়র সোহেল রানা, মজিবর রহমান, রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ।