ইউরোপা লিগ থেকে ইউনাইটেডের বিদায়ে ‘পাগল’ হয়ে গিয়েছিলেন টেন হাগ
প্রথম লেগে দু–দুটি আত্মঘাতী গোল যদি না হতো, ফিরতি লেগে হ্যারি ম্যাগুয়ার যদি শিশুসুলভ ভুল না করতেন কিংবা দাভিদ দে হেয়া যদি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মুখে বল তুলে না দিতেন—ইংল্যান্ডের একমাত্র ক্লাব হিসেবে মৌসুমের চার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা টিকে থাকত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এফএ কাপের সঙ্গে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে ওঠার গর্ব করতে পারতেন এরিক টেন হাগ।
কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে যাচ্ছেতাই খেলে ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সেরা তিনে থাকলেও শিরোপা দৌড়ে অনেক পিছিয়ে। রেড ডেভিলদের মূল পরিকল্পনায় এখন শুধুই এফএ কাপ।
আজ রাতেই ব্রাইটনের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে টেন হাগের দল। পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি এরই মধ্যে ফাইনালে উঠে গেছে। ব্রুনো ফার্নান্দেজ–কাসেমিরোরা আজ ব্রাইটনকে হারাতে পারলে আগামী ৩ জুন লন্ডনের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে হবে ম্যানচেস্টার ডার্বি।
এফএ কাপ সেমিফাইনাল–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে টেন হাগকে অবশ্য ইউরোপা লিগ নিয়েও কথা বলতে হয়েছে। সেভিয়ার কাছে ধরাশায়ী হওয়ার দুঃস্মৃতি তাড়িয়ে না বেড়ালেও একটু ক্ষত রয়েই গেছে ইউনাইটেড কোচের। সে রাতে ম্যাচ শেষে শিষ্যদের খুব বাজেভাবে বকাঝকা করেছিলেন ৫৩ বছর বয়সী ডাচ কোচ।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে আমাকে কঠোর হতে হয়। এটা অস্ত্রের মতো। সময় এলে এটা ব্যবহার করতে হয়। একজন কোচের বাচনভঙ্গি নানা রকম হতে পারে। এটা তার মধ্যে একটা।’
বৃহস্পতিবার সেভিয়ার মাঠে ফিরতি লেগে ৩–০ ব্যবধানে হারের পর খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলেন টেন হাগ। তাঁর কথা, ‘এটা এতটাই অগ্রহণযোগ্য ছিল যে সত্যিকার অর্থে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার দলের খেলোয়াড়েরা মাঠে সেরাটা দিচ্ছে না, এটা কখনোই মেনে নিতে পারি না।’