মেসি–রোনালদো নন, রদ্রির চোখে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় কে
গত দেড় দশকের ফুটবলে সর্বকালের সেরার প্রশ্নে দুটি নামই ঘুরেফিরে সামনে আসে, লিওনেল মেসি নয়তো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ বিষয়ে সাবেক কিংবা বর্তমান ফুটবলারদের যে–ই কথা বলুন, কদাচিৎই এই দুই নামের বাইরে যান। এবার সেই ব্যতিক্রম কাজই করলেন রদ্রি। নিজের পছন্দের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার বেছে নিয়েছেন মেসি–রোনালদোর বাইরের একজনকে।
পিএফএর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রদ্রির কাছে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাঁর দৃষ্টিতে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় কে? এ প্রশ্নের জবাবে রদ্রি এক বাক্যে বলেন, ‘কেভিন ডি ব্রুইনা’। প্রশ্ন উত্তরের খেলায় অবশ্য সর্বকালের সেরা ছাড়া আরও কিছু প্রশ্ন রাখা হয় রদ্রির সামনে। হাসি মুখেই সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন সময়ের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার।
চটজলদি প্রশ্নোত্তরের এ আয়োজনে রদ্রির কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিল, সেরা গোলস্কোরার কে? উত্তরে তিনি ম্যান সিটি সতীর্থ আর্লিং হলান্ডের নাম বলেন। কম মূল্যায়িত খেলোয়াড়ের নাম জানতে চাইলে রদ্রি বেছে নেন বার্সা মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্দোয়ানকে। গুন্দোয়ান ২০২৩ সালে বার্সায় যোগ দেওয়ার আগে সিটিতেই ছিলেন।
গতির প্রশ্নেও সিটির এক খেলোয়াড়কে বেছে নেন রদ্রি, বলেন জেরেমি ডকুর নাম। এ মুহূর্তে সবচেয়ে কাছের বন্ধু হিসেবে বেছে নিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের স্প্যানিশ খেলোয়াড় কোকেকে। এরপর তাঁর দৃষ্টিতে ভীতিজাগানিয়া খেলোয়াড় কে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে আবারও হলান্ডের নাম বলেন রদ্রি।
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়ের নাম। রদ্রি বেছে নেন সিটির তরুণ তুর্কি অস্কার ববকে। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় কে জানতে চাইলে বেশ মজার উত্তর দেন রদ্রি। এ প্রশ্নের জবাবে জানিয়ে দেন নিজের নামটাই। তাঁর এমন অকপট উত্তর একদিক থেকে আত্মপ্রশংসা হলেও, এর যৌক্তিকতা অস্বীকার করার সুযোগ অবশ্য সামান্য।
সাম্প্রতিক সময়ে বড় ম্যাচে একাধিকবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন রদ্রি। সর্বশেষ ইউরোতেই টুর্নামেন্ট–সেরা ছিলেন তিনি। এরপর রদ্রি স্কিলের দিক থেকে বেছে নেন রিয়াদ মাহারেজকে এবং সবশেষে সর্বকালের সেরা হিসেবে বেছে নেন ডি ব্রুইনাকে।
রদ্রি নিজের পছন্দের খেলোয়াড় হিসেবে যেসব নাম বলেছেন, তাঁরা হয় একসময় রদ্রির সঙ্গে খেলেছেন কিংবা বর্তমানে খেলছেন। যেমন সর্বকালের সেরা হিসেবে নাম নেওয়া ডি ব্রুইনা সিটিতে বর্তমানে রদ্রির সতীর্থ।
এ কারণে কেউ কেউ রদ্রির খেলোয়াড় নির্বাচনকে পক্ষপাতিত্বমূলক বলেও মন্তব্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একজন লিখেছেন, ‘খেলোয়াড়দের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ পরিহার করা উচিত।’ অনেকে অবশ্য তাঁর সঙ্গে একমতও পোষণ করেছেন।