ইয়ামালের চোখধাঁধানো গোলে বার্সার জয়
লা লিগায় অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ড্র করে চাপে ছিল বার্সেলোনা। গতকাল রাতে মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ড্রই হতে যাচ্ছে। বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে থেকেও গোল পাচ্ছিল না বার্সা। এর মধ্যে পেনাল্টিও মিস করেছেন মিডফিল্ডার ইলকাই গুন্দোয়ান।
তবে ১৬ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামালের চোখধাঁধানো এক গোলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। এই জয় দিয়ে নাপোলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের প্রস্তুতিও সেরে নিল জাভি হার্নান্দেজের দল।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ইয়ামাল। মায়োর্কার বক্সের বাইরে বল পেয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টারের গতিতে ভেতরে ঢোকেন ইয়ামাল। এরপর নিজের সঙ্গে লেগে থাকা মার্কারকে বোকা বানিয়ে জায়গা বের করে নেন।
সামনে সারি ধরে মায়োর্কার ডিফেন্ডাররা অবস্থান নেওয়ায় আর সামনে এগোননি এই স্প্যানিশ কিশোর। দূরের পোস্ট লক্ষ্য করে সেখান থেকেই নেন বাঁকানো শট। পোস্টের কোণ ঘেঁষে জালে জড়ানো বলটি থামানোর কোনো উপায়ই ছিল না প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের।
এই গোলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। এ জয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েও উঠে এসেছে কাতালান ক্লাবটি। ২৮ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৬১। শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ২৭ ম্যাচে ৬৬। তিনে নেমে যাওয়া জিরোনার পয়েন্ট ২৭ ম্যাচে ৫৯। আজ রাতে জিরোনা খেলবে ওসাসুনার বিপক্ষে। এই ম্যাচ জিতলে ফের বার্সাকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে তারা।
ম্যাচ শেষে জয়সূচক গোল করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ইয়ামাল। এই গোলে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে জানিয়ে ইয়ামাল বলেছেন, ‘দলের জয় এবং গোলের জন্য আমি খুবই আনন্দিত। আমি সুযোগ দেখতে পাচ্ছিলাম। তাই সেখান থেকে শট নিয়েছি। ম্যাচটা কঠিন ছিল, আমি সব সময় দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। ঘরের মাঠে দর্শকদের সামনে গোল করতে পারা আমার জন্য স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতোই।’
বার্সা পরের ম্যাচ খেলবে চ্যাম্পিয়নস লিগে। শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে নাপোলিকে আতিথ্য দেবে তারা। দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। মায়োর্কা ম্যাচ পেছনে ফেলে এখন নাপোলির দিকে তাকিয়ে বার্সেলোনা। ইয়ামালের কথায়ও তা স্পষ্ট, ‘আমাদের এখন থেকেই নাপোলি ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ।’