কাতার বিশ্বকাপই লিওনেল মেসির শেষ। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে এরপর আর বিশ্ব মঞ্চে দেখা যাবে না।
মেসির মতো খেলোয়াড়ের শেষ বিশ্বকাপের দলে কে না থাকতে চান? আনহেল কোরেয়াও চেয়েছিলেন। আতলেতিকো মাদ্রিদের ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গত মাসে জানিয়েছিলেন, মেসির দলে থাকার প্রবল ইচ্ছা তাঁর। প্রয়োজনে পানি টানতেও রাজি।
তবে কোচ লিওনেল স্কালোনি গত সপ্তাহে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার পর কোরেয়ার মাথায় যেন বাজ পড়ে। আর্জেন্টিনা কোচের বিশ্ব জয়ের পরিকল্পনায় যে ছিল না তাঁর নাম!
কোরেয়াও হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ অবস্থায় কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। ওদিকে ফুটবলারদের বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ করে দিতে সবাইকে ছুটি দিয়েছে ক্লাবগুলো। বিরতিটা প্রায় দেড় মাসের। বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি, ক্লাবেরও খেলা নেই—শুধু শুধু মাদ্রিদে পড়ে থেকে কী লাভ? কোরেয়া তাই ফিরে গিয়েছিলেন আপনভূমি আর্জেন্টিনার রোজারিওতে। সেখানে থেকেই আজ সুখবরটা পেয়েছেন এই ফরোয়ার্ড।
গতকাল দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে গিয়ে পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন নিকো গঞ্জালেস। ইতালিয়ান ক্লাব ফিওরেন্তিনার এই ফরোয়ার্ডের জায়গায় ডাক পেয়েছেন কোরেয়া। একেই বোধ হয় বলে কপাল!
আজ সুখবরটা কানে আসতেই তড়িঘড়ি কাতারে রওনা হয়েছেন কোরেয়া। যাওয়ার আগে রোজারিওর ফিশারটন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানিয়ে গেছেন তাঁর অনুভূতি, ‘এটা আমার জন্য চমকপ্রদ ব্যাপার। আমার দাদি, বোন, মেয়ে ও বন্ধুবান্ধব একসঙ্গেই ছিলাম। (বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার খবর) শোনার পর তাদের সঙ্গে আনন্দ করেছি। অনেকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখনো আমি ঘোরের মধ্যে আছি। একটা বড়সড় ভ্রমের মধ্য দিয়ে আমি এখন কাতারে যাচ্ছি।’
সতীর্থের চোটে বিশ্বকাপ শুরুর এক দিন আগে এমন সুযোগ আসবে, কল্পনাতেও ভাবেননি কোরেয়া, ‘বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া একজন খেলোয়াড়ের সেরা প্রাপ্তি। সবাই প্রবল উদ্দীপনা নিয়ে খেলতে গেছে। এখন আমিও তাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। অথচ কদিন আগেও এটা কল্পনায় আসেনি।’
শুধু গঞ্জালেস নন, আর্জেন্টিনা দল থেকে ছিটকে গেছেন আরেক কোরেয়া। তিনি হোয়াকিন কোরেয়া, ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড। পরশু রাতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে হাঁটুতে চোট পান তিনি। আর্জেন্টিনার ৫-০ ব্যবধানের জয়ে শেষ গোলটি করেন ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। হোয়াকিন কোরেয়ার জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে থিয়াগো আলমাদাকে।