আর্সেনালের উদ্যাপনে ঘড়ি, শুধুই ঘড়ি নয়
ছবিটা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ওলেকজান্ডার জিনচেঙ্কো। বিশেষ কিছু নয়। ম্যাচ জয়ের পর দলগত উদ্যাপনের এমন ছবি আগেও তোলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে। ব্যতিক্রম যা খানিকটা—একটা ঘড়ি।
এই ঘড়িও আবার সবার চেনাও। এমিরেটস স্টেডিয়ামের একটি প্রান্তের নাম ‘ক্লক এন্ড’। সেই ক্লক এন্ডেই আছে এ রকম একটি ঘড়ি। ২০০৬ সালের আগে আর্সেনালের মাঠ ছিল হাইবুরি। ১৯৩০ সাল থেকে হাইবুরির ‘সিগনেচার’ও ছিল এই আদলের ঘড়িই। সব মিলিয়ে ৯ দশকের বেশি সময় ধরে আর্সেনালের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঘড়ি।
দীর্ঘদিনের এই ‘সঙ্গী’কে নিয়ে জিনচেঙ্কোদের উদ্যাপন তাই ব্যতিক্রমও লাগার কথা নয়। আর রোববারের ম্যাচটা যেহেতু ফুলহামের মাঠে হয়েছে, এমিরেটসের ঘড়িটিকে স্মরণও হতে পারে একটা কারণ।
তবে একটু গভীর দৃষ্টি দিয়ে যারা ছবিটি দেখেছেন, তাঁদের চোখে ধরা পড়েছে ভিন্ন কিছু। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেছেন ঘড়ির কাঁটা, হিসাব কষেছেন লিগের ম্যাচ। এরপর কেউ একজন কিছু একটা আবিষ্কার করার আনন্দে আওয়াজ তুলেছেন সজোরে, এ শুধুই ঘড়ি নয়!
তাহলে কী?
তার আগে একবার চোখ বোলানো যাক মাঠের খেলায়। মিকেল আরতেতার দল লিগে নিজেদের ২৭তম ম্যাচে ফুলহামকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। তিনটি গোলই ছিল প্রথমার্ধে। গোলদাতা গ্যাব্রিয়েল, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি ও মার্টিন ওডেগার্ড।
ক্রাভেন কটেজে পাওয়া এ জয়ে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ স্থান আরও মজবুত করেছে আর্সেনাল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৫ পয়েন্টে। এমন একটি জয়ের পর খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ সবাই মিলে একটা দলগত ছবি তোলাটাই স্বাভাবিক। জিনচেঙ্কো সেটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে কারণ হিসেবে ফুলহামের বিপক্ষে জয়ের কথা লিখেছেনও।
যা লেখেননি, সেটিই খুঁজে বের করেছেন কৌতূহলী নেটিজেনরা। সময় বিবেচনা করলে ঘড়িতে বাজে ২টা ৫৫। চব্বিশ ঘণ্টা ফরম্যাটে ভাবলে ১৪টাও বলা যায়।
তবে সময় নয়, মূল ঘটনা ঘড়ির কাঁটার অবস্থান। ঘণ্টার কাঁটা ২-এ, মিনিটের কাঁটা ১১-তে। আর্সেনাল সমর্থকদের মতে, ২ বলতে দুই মাস আর ১১ বলতে এগারো ম্যাচ বোঝানো হয়েছে। ২০০৪ সালের পর প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিততে আর দুই মাস আর ১১ ম্যাচই বাকি আছে আর্সেনালের। কেউ কেউ অবশ্য ঘণ্টার কাঁটা দুইকে ১৪টা মনে করে আর্সেনালের ১৪তম লিগ শিরোপার অপেক্ষার কথাও বলেছেন।
যেটিই সঠিক হোক, আর্সেনালের উদ্যাপনে ঘড়ি যে শুধু ঘড়িই ছিল না, শিরোপা অপেক্ষার প্রতীকও, সেটি তো স্পষ্টই!