সাফের সেরা সৌরভীর আনন্দ দেশের শিরোপায়
সৌরভী আকন্দের দিকে আলাদা নজর দিতেই হবে সবাইকে। অবশ্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের এই ফরোয়ার্ড যে অন্যদের চেয়ে কিছুটা আলাদা, সেটি বোঝানো শুরু করেছে সেই ২০২২ থেকেই। ওই বছর ঢাকায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু পাওয়া গিয়েছিল সৌরভী নামের দারুণ এক স্ট্রাইকারকে। ওই টুর্নামেন্টে ভুটানের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৬ গোলসহ সুরভী করে ৯ গোল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, দুই ম্যাচে তাঁর গোল ছিল ৯!
সেই সৌরভী এবার নেপালে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরেছে দারুণভাবেই। চার ম্যাচে ৫ গোল করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় সে। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটাও সৌরভী পেত যদি না ফাইনালে ভারতের আনুশকা কুমারী গোলটা না করত। ৬ গোল করে ভারতের এই ফরোয়ার্ড সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারিনি তো কী হয়েছে, দেশ তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেছে সৌরভী। দ্বিতীয় ম্যাচেও ভারতের সঙ্গে দারুণ এক গোল। ভুটানের বিপক্ষে শুক্রবারের শেষ ম্যাচে একটু সতর্ক থাকলে হয়তো হ্যাটট্রিকই হয়ে যেত; কিন্তু সেটি হয়নি। ফাইনালে যে সৌরভীকে নিয়ে ভারতীয় দলের আলাদা পরিকল্পনা আছে, সেটি বোঝাই যাচ্ছিল।
আগের ম্যাচে দুই ভারতীয় ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে গোল করেন। আজ সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া যাবে না, পরিকল্পনাটা এমনই। ১-১ সমতার ফাইনাল টাইব্রেকারে গড়ালে সৌরভী অবশ্য পেনাল্টি মিস করেন। তার সেই দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছে দলের শিরোপা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ইয়ারজান বেগম। গোলকিপার ইয়ারজানের বীরত্বেই যে শিরোপা বাংলাদেশের।
সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে না পেরে অবশ্য কোনো আক্ষেপ নেই সৌরভীর, ‘সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারিনি তো কী হয়েছে, দেশ তো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ইয়ারজানের ওপর আমাদের বিশ্বাস ছিল, সে দারুণ তিনটা সেভ করে আমাদের জিতিয়েছে। এটাই তো আনন্দের।’
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে দারুণ খুশি সৌরভী। সব কৃতিত্ব সে দিয়েছে সতীর্থদেরই, ‘আমি সেরা খেলোয়াড় হয়েছি, কিন্তু আমার দলের অন্য খেলোয়াড়েরা দারুণ খেলেছে। আমরা দুই মাস কষ্ট করেছি, আজ আল্লাহ আমাদের সেই পুরস্কারটা দিলেন।’