লিওনেল মেসিদের বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ। বিকেল ৪টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলবে সৌদি আরবের বিপক্ষে। কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে দারুণ ছন্দে আছে আর্জেন্টিনা।
টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপে এসেছে স্কালোনির আর্জেন্টিনা আর এই দলকে তাতিয়ে দেওয়ার মতো কারণ আছে আরও একটি। দলের অধিনায়ক মেসি আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, কাতারেই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। মেসি নিজেও যেমন সেরাটা দিতে চাইবেন, তেমনি পুরো দলের চেষ্টারও কমতি থাকবে না। তাই সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনা কাতার বিশ্বকাপে এসেছে ফেবারিটের তকমা নিয়েই।
সৌদি আরবের জন্য বিশ্বকাপ মিশনটা তেমন নয়। গত রাশিয়া বিশ্বকাপটা দুঃস্বপ্নের মতো কাটানোর পর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে সৌদি আরব। কোচ হার্ভে রেনার্দের অধীনে দল অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাছাইয়ে ভালো খেলেই জায়গা করে নিয়েছে কাতার বিশ্বকাপে। আগে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা সৌদি এবার ভালো খেলতে চায়। তবে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন দেখা তাদের জন্য একটু বাড়াবাড়িই।
তাই পরিষ্কারভাবেই এই ম্যাচে ফেবারিট আর্জেন্টিনা। আর ইতিহাসও কথা বলছে মেসিদের পক্ষে। এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ও সৌদি আরব মুখোমুখি হয়েছে চারবার। যেখানে আর্জেন্টিনা জিতেছে দুই ম্যাচ। বাকি দুটি ড্র।
সৌদি আরবের জালে এ পর্যন্ত ৭ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। আরব দেশটি আর্জেন্টিনার জালে করেছে ৩ গোল। সৌদি আরবের বিপক্ষে এর আগে একটি ম্যাচই খেলেছেন মেসি। সেই ম্যাচে তিনি গোল পাননি। এই দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৮৮ সালে।সৌদি আরবের জালে এ পর্যন্ত ৭ গোল করেছে আর্জেন্টিনা। আরব দেশটি আর্জেন্টিনার জালে করেছে ৩ গোল। সৌদি আরবের বিপক্ষে এর আগে একটি ম্যাচই খেলেছেন মেসি। সেই ম্যাচে তিনি গোল পাননি।
১. ৬ জুলাই ১৯৮৮, অস্ট্রেলিয়া দ্বিশতবর্ষী গোল্ডকাপ
এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন সৌদি আরব, র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর দল ব্রাজিল, ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪ গোলের ৩টিই করেন আর্জেন্টিনার সাবেক রাইটব্যাক হারনান দিয়াজ। অর্থাৎ দলের হয়ে জোড়া গোল করার পাশাপাশি করেন আত্মঘাতী গোলও। সৌদি আরবের হয়ে অন্য গোলটি করেন তাদের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা মাজিদ আবদুল্লাহ।
২. ১৬ জুলাই ১৯৮৮, অস্ট্রেলিয়া দ্বিশতবর্ষী গোল্ডকাপ
এই টুর্নামেন্টে সৌদির আরবের সঙ্গে আর্জেন্টিনার আবারও দেখা হয় তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। সে ম্যাচে অবশ্য পাত্তা পায়নি সৌদি আরব। ডিয়েগো সিমিওনে ও আলবার্তো আলভারেজের গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল আর্জেন্টিনা।
৩. ২০ অক্টোবর ১৯৯২, ফিফা কনফেডারেশন কাপ
চার বছর বাদে এই দুলের দেখা হয় ফিফা কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে। সেবারের কনফেডারেশন কাপ আয়োজক ছিল সৌদি আরব। ডিয়েগো সিমিওনে, ক্লদিও ও লিওনার্দো রদ্রিগেজের গোলে ৩-১ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। ঘরের মাঠে শিরোপা হাতছাড়া হয় সৌদি আরবের।
৪. ১৪ নভেম্বর ২০১২, আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ
সৌদি আরবের সঙ্গে আর্জেন্টিনা পরের ম্যাচটি খেলে ২০ বছর পর। সেই প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি ও দি মারিয়া দুজনেই। তবে কেউই গোলের খাতা খুলতে পারেননি। গোলশূন্য ড্রতে শেষ হয় ম্যাচ।
সৌদি আরব বোধ হয় এই ম্যাচ থেকেই অনুপ্রেরণা নিতে চাইবে!