ইকার্দির গ্যারেজে বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি
মাঠে ও মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হন মাউরো ইকার্দি। তবে ইকার্দির এবারের খবর শিরোনাম হওয়ার কারণ ভিন্ন। বিশ্বের সবচেয়ে দামি কার কিনে আলোচনায় এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। সব মিলিয়ে মাঠ ও মাঠের বাইরে সময়টা দারুণ কাটছে তাঁর।
গত বছরের এ রকম সময়েও হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন ইকার্দি। পিএসজির একাদশে হয়ে পড়েন ব্রাত্য। স্ত্রী নারার সঙ্গেও শুরু হয় সম্পর্কের টানাপোড়েন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলেও জায়গা হয়নি তাঁর। তবে পিএসজি থেকে ধারে গালাতাসারাইয়ে খেলতে গিয়ে কপাল ফিরেছে ইকার্দির। তুরস্কের ফুটবলে অভিষেক মৌসুমেই জিতেছেন লিগ শিরোপা। গত মঙ্গলবার তাঁর জোড়া গোলেই এক ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্তাম্বুলের ক্লাবটি। ২১ গোল করে শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় দুইয়ে আছেন তিনি।
শিরোপা জয়ের রেশ থাকতেই রোল রয়েস ব্রান্ডের কার কিনে ফেলেছেন ইকার্দি। ব্রিটিশ গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কারটি বোট টেইল মডেলের, যার দাম ২ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬৫ কোটি ৬২ লাখ টাকারও বেশি। বর্তমানে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি কার।
গাড়িটির বিশেষত্ব হলো এটা পুরোটাই হাতে তৈরি এবং ১ হাজার ৮১৩টি আলাদা অংশে বিভক্ত। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ৬.৫ ভি১২ ইঞ্জিনে চলে রোল রয়েসের এই গাড়ি। চার আসনের কারটির সিটে কাঠের সঙ্গে মরিচারোধক ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের আসন সাধারণত বিলাসবহুল ইয়টে দেখা যায়। কারের আসন এমনকি জানালাও লেদারে মোড়ানো। গাড়িটির দরজা দেখতে বিলাসবহুল প্রমোদতরির মতো।
এখানেই শেষ নয়। ইকার্দির গাড়িতে বহনযোগ্য রান্নাঘরও আছে। দূরে কোথাও বনভোজনে গেলে রান্নাবান্নার যেসব সরঞ্জাম দরকার, সবকিছুই আছে এতে। স্প্যাম্পেন রাখার জন্য একটি ফ্রিজ ও বিখ্যাত আসবাব কোম্পানি ক্রাইস্টটোফলের থালাবাসও সাজানো আছে।
বিশ্বে এ ধরনের গাড়ির মাত্র তিনটি ইউনিট আছে। তবে একটির সঙ্গে আরেকটির মিল নেই। সে দিক বিবেচনায় ইকার্দির গাড়িটি অনন্য। নতুন গাড়িতে বসা দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। লিখেছেন, ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও নকশা’।