বার্সার ব্যয়ের সীমা বাড়ল প্রায় ৭৬৫৭ কোটি টাকা
দলবদলে বুদ্ধি খাটিয়ে দারুণ সুফল পেয়েছে বার্সেলোনা। শুধু খেলোয়াড় কেনায় নয়, অর্থনৈতিকভাবেও সুবিধাজনক অবস্থায় যেতে শুরু করেছে বার্সা। লা লিগার দেওয়া তথ্য বলছে, বার্সার ব্যয়ের সীমা বেড়ে এখন ৮০ কোটি ইউরোয় (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭,৬৫৭ কোটি টাকা) পৌঁছেছে। লা লিগায় দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে এসেছে বার্সাকে।
দলবদলের বাজারে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী ২৫ বছরের জন্য ২৫ শতাংশ টেলিভিশন স্বত্ব বিক্রি করেছে বার্সা ।
পাশাপাশি ৭০ কোটি ইউরোতে স্টুডিওর ৪৯ শতাংশ স্বত্বও বিক্রি করেছে তারা, যা তাদের রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনহা ও জুলেস কুন্দেকে কেনার ক্ষেত্রে ১৫ কোটি ইউরো ব্যয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।পাশাপাশি দলবদলে আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন, ফ্রাঙ্ক কেসিয়ে, হেক্টর বেলেরিন এবং মার্কোস আলোনসোরা বার্সায় আসেন ফ্রি ট্রান্সফারে।
বার্সার এমন কৌশলী অবস্থানের ফলে নতুন মৌসুমে খেলোয়াড় কেনার ক্ষেত্রে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় তারা। এর আগে ২০২১ সালের দলবদলে লিওনেল মেসিকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বার্সা। এমনকি জানুয়ারিতে বার্সার ব্যয়ের সীমা নেমে আসে ৯ কোটি ৬০ লাখ ইউরোতে, যা পরে ‘মাইনাস’-এ নেমে যায়।
সেখান থেকে সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে নতুন করে ব্যয়ের সক্ষমতা অর্জন করেছে ক্লাবটি, যা ৮০ কোটি ইউরো বাড়ার পর নেতিবাচক ব্যয় বাদ দিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ইউরোতে।
দলবদলের বাজারে বার্সার ব্যয়ের সীমা নিয়ে লা লিগা প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস বলেছেন, ‘বার্সেলোনার ব্যয়ের সীমা ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ইউরো, এ পরিমাণ তাদের প্রয়োজন ছিল। এ কারণেই তাদের শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পেরেছিল। সম্পদ বিক্রি করা ছাড়া পরের মৌসুমে সীমা এত বেশি না–ও হতে পারে। খেলোয়াড় কিংবা সম্পদ বিক্রি করে তাদের খরচ ২০ কোটি ইউরো পর্যন্ত কমাতে হতে পারে।’
বার্সার ব্যাপারে লা লিগা বেশি উদার ছিল কি না, জানতে চাইলে তেবাস আরও বলেছেন, ‘একেবারেই না। স্পেনের সব ক্লাবের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য। এমনকি কুন্দেকে নিবন্ধন করতে বার্সা সভাপতিকেই জামিনদার হতে হয়েছিল।’
অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে বার্সার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। তবে তেমন কিছুর আশঙ্কা উড়িয়ে দেন তেবাস, ‘দেউলিয়া হওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে কি না? আমার মনে হয় সেটা একেবারেই নেই।’
তবে লা লিগায় এখনো সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের সক্ষমতা আছে লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের, যারা স্কোয়াড চালানোর জন্য বছরে ৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ইউরো পর্যন্ত খরচ করতে পারবে।