হলান্ডের মিসের রাতে জোড়া গোলে সিটিকে জেতালেন আলভারেজ
এই ম্যাচের প্রথমার্ধ আরও অনেক দিন ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের দুঃস্বপ্ন হয়ে ফিরে আসতে পারে। ইতিহাদে প্রথম ৪৫ মিনিটে যা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য বললেও পুরোপুরি স্পষ্ট হয় না। সিটির আক্রমণের পর আক্রমণ খুঁজে নিতে পারেনি জালের ঠিকানা। সহজ সব সুযোগ হাতছাড়া করে গেছেন আর্লিং হলান্ড-ফিল ফোডেনরা। উল্টো গোল খেয়ে পিছিয়েও যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন নিজের মিসগুলোর জন্য হলান্ড নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নও চাইলে কেউ তুলতে পারে। গোটা ম্যাচে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। সব মিলিয়ে হলান্ড বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ৪টি, আর পোস্টে মেরেছেন ২ বার। সঙ্গে অবশ্য রেড স্টার বেলগ্রেডের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের কৃতিত্ব তো আছেই।
সার্বিয়ান ক্লাবটি যেন এদিন হলান্ডকে কোনোভাবেই গোল করতে না দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নেমেছিল। নিজেরা ৩-১ গোলে হারলেও শেষ পর্যন্ত হলান্ডকে ঠিকই গোলবঞ্চিত রেখেছে তারা। এদিন জোড়া গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ। আর একটি গোল করেছেন রদ্রি।
ঘরের মাঠে পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হয় পেপ গার্দিওলাকে। এই অর্ধে একটি মাইলফলকও গড়েছে সিটি। ২০০৩-০৪ সালের পর (যখন থেকে তথ্য রাখা হচ্ছিল) এই প্রথম কোনো দল প্রথমার্ধেই ২২টি শট নিল। তবে কোনোটিই খুঁজে পায়নি জালের ঠিকানা। অবিশ্বাস্যই বটে! অথচ গার্দিওলা নিজে বলেছিলেন, এবার শিরোপা জেতা তাদের জন্য সহজ। কিন্তু ব্যাপারটা যে তেমন না তা বোঝা গেল প্রথম ম্যাচ দেখেই।
তবে গোল না পাওয়ার এই যন্ত্রণা আরও বড় হয় প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে উল্টো গোল খেয়ে সিটি পিছিয়ে পড়লে। প্রতি-আক্রমণ থেকে রেড স্টারকে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে এগিয়ে দেন উসমান বুখারি। শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় সিটিকে।
বিরতির পর অবশ্য গোল শোধ করে ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি সিটি। খেলা শুরুর ২ মিনিট পরেই হলান্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। এই গোলে সমতা ফেরার পর একটু পর ব্যবধানও বাড়ায় সিটি। তবে ভিএআরের ফাঁদে বাতিল হয় সেই গোল। সে যাত্রায় গোল না হলেও ৬০ মিনিটে ঠিকই গোল পেয়ে যায় সিটি।
এবার আলভারেজকে রীতিমতো গোল উপহারই দেন রেড স্টার গোলরক্ষক। ফ্রি-কিক থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় সেই বল জড়ায় জালে। সিটি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। একটু পর ফোডেনের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ম্যাচ রেড স্টারের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান রদ্রি। এরপর ব্যবধান আরও বড় করার সুযোগ এসেছিল হলান্ডের সামনে। কিন্তু দিনটা যে তাঁর ছিলই না। দল জিতলেও তাই শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন হলান্ড। একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ৩-১ গোলেই হারিয়েছে আরবি লাইপজিগ।