চোটের কারণে লিওনেল মেসি ছিলেন না। ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পেও। আক্রমণভাগে চেনা দুই সঙ্গীকে হারানো নেইমার তাই জুটি বাঁধলেন হুগো একিতিকের সঙ্গে।
রক্ষণভাগে সের্হিও রামোস স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে ছিলেন না। বিরতির পর যখন তাঁকে বদলি নামালেন পিএসজির কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের, ততক্ষণে মোনাকোর কাছে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছে তাঁর দল। সেই ফলটা আর বদলাতে পারেনি পিএসজি। ওই ব্যবধানেই হারতে হয়েছে ম্যাচটা। বিশ্বকাপের পর ৮ ম্যাচে এটি পিএসজির তৃতীয় হার। অন্যদিকে বিশ্বকাপের পর এ নিয়ে টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত মোনাকো।
ম্যাচের ৫ মিনিট না যেতেই মোনাকো সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান আলেকসান্দর গোলোভিন। উইসাম বেন ইয়েদেরের পাস থেকে গোলোভিনের ডান পায়ের শট যায় পিএসজির জালে। সেই ধাক্কা সামলে নিতে না নিতেই আবার গোল। এবার বেন ইয়েদের নিজেই গোলদাতা, তাঁকে বল বাড়িয়েছেন ক্রেপিন দিয়াত্তা।
বলের দখল কিছুটা বেশি রাখলেও পিএসজি খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখতে পারছিল না ঠিক। সেই তুলনায় মোনাকো খেলেছে আক্রমণাত্মক ও গুছানো ফুটবল। এর মধ্যেই অবশ্য পিএসজি একটা গোল শোধ করে দেয় ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। হুয়ান বেরনাতের পাস থেকে ২-১ করেন পিএসজি মিডফিল্ডার ওয়ারেন জায়ার-এমেরি।
কে জানে, বেন ইয়েদেরের হয়তো ব্যবধান কমে যাওয়াটা পছন্দ হচ্ছিল না। বিরতির ঠিক আগে আগে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও মোনাকোর ৩ নম্বর গোলটা করেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। এবার তাঁকে বল বাড়িয়েছেন সতীর্থ এলিসে বেন সেগির।
তখন অবশ্য মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচে হয়তো আরও নাটকীয়তা বাকি। কিন্তু বিরতির পর মোনাকো নেমেছিল আর গোল না খাওয়ার পণ করেই। গালতিয়ের পরে রামোসকে নামিয়েছেন, আশরাফ হাকিমিকে নামিয়েছেন। তাতে রক্ষণ জমাট হয়েছে, পিএসজি আর গোল খায়নি। কিন্তু মোনাকোর রক্ষণ আর ভাঙা সম্ভব হয়নি নেইমারদের।
এ জয়ে ২৩ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ফরাসি লিগের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোনাকো। শীর্ষে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ২৩ ম্যাচে ৫৪।
পিএসজির পরের ম্যাচ চ্যাম্পিয়নস লিগে, মঙ্গলবার রাতে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। বৃহস্পতিবার রাতে মোনাকো ইউরোপা লিগে খেলবে লেভারকুসেনের বিপক্ষে।