নেইমারই তবে বার্সেলোনার যাবতীয় সমস্যার মূল? বার্সেলোনার অর্থনীতিবিষয়ক সহসভাপতি এদোয়ার্দ রোমেয়ুর কথা শুনলে অবশ্য তেমনটাই মনে হবে। সম্প্রতি বার্সার এই কর্মকর্তা বলেছেন, নেইমারের আগমন থেকেই দলটির অর্থনৈতিক দৈন্যদশার শুরু। শুধু নেইমারের আগমনই নয়, তাঁর ক্লাব ছেড়ে যাওয়াও বিপর্যয়ে ফেলেছে বার্সাকে। সেটি অবশ্য ভিন্নভাবে।
২০১৩ সালে ৫ কোটি ৭০ লাখ ইউরোতে সান্তোস থেকে বার্সায় যোগ দেন নেইমার। সে সময় নতুন আসা নেইমারের জন্য যে বেতন ধরা হয়েছিল, তা নিয়েও দলের কারও কারও মাঝে উদ্বেগ ছিল। তবে সময়ের অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নেননি নেইমার। লিওনেল মেসির সঙ্গে তাঁর জুটিও দারুণভাবে জমে ওঠে। পরবর্তী লুইস সুয়ারেজও যোগ দিলে মেসি–নেইমার–সুয়ারেজ মিলে গড়ে তোলেন ‘এমএসএন’ ত্রিফলা।
মেসি–নেইমার–সুয়ারেজ মিলে একসঙ্গে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগসহ একাধিক ট্রফিও জিতেছিলেন। তবে নেইমারের আগমনে মাঠে সাফল্য পেলেও মাঠের বাইরে বার্সার অর্থনৈতিক সমস্যার শুরু এই ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ঘিরেই। এমনটাই দাবি করেছেন এদোয়ার্দ রোমেয়ু, ‘নেইমারের আগমন থেকেই সমস্যার শুরু। কারণ, সদ্য আসা একজন খেলোয়াড়ের জন্য অত্যধিক অর্থ দেওয়া সবকিছু সংকুচিত হয়ে পড়েছিল।’
তবে নেইমারই ২০১৭ সালে ক্লাব ছাড়ার পিএসজিকে বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। পিএসজি ২২ কোটি ইউরো দিয়ে কিনে নেয় নেইমারকে। কিন্তু এই সুযোগও কাতালান ক্লাবটি ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো সবকিছু আরও জটিল হয়ে পড়ে।
রোমেয়ু বলেছেন, ‘সে চলে যাওয়ার পর শুরু হয় পাগলামি। আমরা পথ হারিয়ে ফেলি।’ নেইমারের বিদায়ের পর ফিলিপে কুতিনহো ও উসমান দেম্বেলেকে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করে নিয়ে আসে বার্সা। কিন্তু এ দুজনের কেউই নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেননি।