নতুন রূপে যেভাবে চমকে দিলেন মেসি
ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন হয়েও সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য আলাদা খ্যাতি আছে লিওনেল মেসির। তবে তার মানে এই নয় যে মেসি ফ্যাশন বা স্টাইল নিয়ে ভাবেন না। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন রূপে দেখা গেছে মেসিকে। কখনো লম্বা চুলে, কখনো ছোট চুল আর মুখভর্তি ঘন দাড়ি, কখনো চুল হালকা স্পাইক করা, আবার কখনো স্ট্রেট চুল। মেসি যখনই নতুন রূপ নিয়ে হাজির হয়েছেন, কথা হয়েছে তাঁর সেসব স্টাইল নিয়ে।
বিশ্বকাপের সময় থেকে একটা স্টাইলেই দেখা যাচ্ছিল মেসিকে। চুল ছোট করে ছাঁটা ও স্পাইক করা। আর মুখে দাড়ি। সে দাড়ি অবশ্য খুব ঘন নয়, আবার খুব হালকাও না। তাঁর সে লুকে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরার ছবিটা ইতিহাসের পাতায় স্থায়ী হয়ে গেছে।
বিশ্বকাপের পর গত ৮–৯ মাস সে স্টাইল আর বদলাননি মেসি। তবে এবার আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে ইন্টার মায়ামির অনুশীলনে মেসি ধরা পড়লেন একেবারে নতুন রূপে। যেখানে মেসিকে দেখা যাচ্ছে ছোট করে ছাঁটা চুলে এবং মুখে ক্লিন শেভ করা। মেসির নতুন রূপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনাও হচ্ছে বেশ।
ইন্টার মায়ামির পোস্ট করা সেই ছবির নিচে একজন লিখেছেন, ‘রাজা ফিরলেন নতুন রূপ নিয়ে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘এই লুকের জন্যই ব্যালন ডি’অর তাঁর প্রাপ্য।’ আরেকটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘দাড়িবিহীন মেসি কিন্তু বিপজ্জনক।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘মেসি কি কোনো পুরস্কার অনুষ্ঠানের জন্য এমন বেশ নিয়েছেন?’ বোঝাই যাচ্ছে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার অনুষ্ঠানের দিকে ইঙ্গিত করে এমনটি বলা।
এর আগে মেসি যেসব লুকে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন, তার অন্যতম ছিল ‘সিজর কাট কুইফ’। যেখানে সাদামাটাভাবেই চুল কাটা থাকে। কিন্তু সামনের দিকে চুলগুলো একটু লম্বা রাখা হয় এবং চুলগুলো আঁচড়ানো থাকে। মেসিকে যখন এই লুকে দেখা গিয়েছিল, তখন চুলের সঙ্গে মিলিয়ে তাঁর মুখে দাড়িও রাখা ছিল। এরপর বলতে হয় শর্ট মডার্ন মুলেটের কথা। এটা অনেকটা ধ্রুপদী লুক।
এই লুকের ক্ষেত্রে চুলগুলো সেভাবে আঁচড়ানো থাকে না, বরং একটু লম্বা চুল সামনের দিকে নামানো থাকে। আশির দশকে এই লুক খুব জনপ্রিয় ছিল। এই লুকের সময় মেসির মুখে দাড়ি ছিল না। মাঝে ডাইড টপ অ্যান্ড ফুল ব্রেড লুকেও দেখা গিয়েছিল মেসিকে। এই লুকের সময় মেসির মুখভর্তি দাড়ি ছিল এবং চুলগুলো সাদা রং করা ছিল। এ ছাড়া ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ক্লিন শেভ করা ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুলের মেসিকেও দেখা গিয়েছিল।