ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা ফোরলান পেশাদার টেনিসে অভিষেকের অপেক্ষায়
ডিয়েগো ফোরলান সাবেক ফুটবলার। ডিয়েগো ফোরলান এখন টেনিস খেলোয়াড়!
উইকিপিডিয়ায় তাঁর পরিচয়টাও দেখে নিতে পারেন। ফোরলানকে এত দিন তাবৎ দুনিয়া উরুগুয়ের ফুটবল কিংবদন্তি হিসেবে চিনেছে। ২০১০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়, যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও টুর্নামেন্টের সেরা গোলও ছিল তাঁর।
শুধু কি তা–ই, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন ইউরোপা লিগও। জাতীয় দলের জার্সিতে জিতেছেন কোপা আমেরিকা। উইকিপিডিয়ায় এমন একজন ফুটবলারের পরিচয়টা যখন শুরু হয় ‘উরুগুয়ের পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়...’, তখন অবাক হতেই হয়।
আসলে টেনিসের সঙ্গে ফোরলানের প্রথম সখ্য ছোটবেলায়। গত বছর আবারও টেনিস খেলা শুরু করেন ৪৫ বছর বয়সী ফোরলান। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ফোরলান এখন পেশাদার টেনিস টুর্নামেন্টের কোর্টে নামার অপেক্ষায়। আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া উরুগুয়ে ওপেন দিয়ে এটিপি চ্যালেঞ্জার্স টেনিসে অভিষেক হবে দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের জার্সিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোল করা ফোরলানের। দ্বৈত ইভেন্টে আর্জেন্টিনার ফেদেরিকো কোরিয়ার সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলবেন। এটিপি একক র্যাঙ্কিংয়ে ফেদেরিকো ১০১তম।
উরুগুয়ে ওপেন এটিপি চ্যালেঞ্জার ট্যুরের আওতাভুক্ত, যা টেনিস প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তর। উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে আগামী ১১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট। উরুগুয়ে ওপেন টুর্নামেন্টের পরিচালক ডিয়েগো লোপেজ জানিয়েছেন, ফোরলানকে খেলার জন্য নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তিনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন।
উরুগুয়ে ওপেন টুর্নামেন্টের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে লোপেজ বলেছেন, ‘সে খেলতে চায়, এই নিশ্চয়তা আছে আমার কাছে। অনেক দিন ধরেই সে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রচুর টেনিস অনুশীলন করছে। আমার মনে হয়, এই সুযোগ তার প্রাপ্য এবং তাতে পারস্পরিক সন্তুষ্টির জায়গাও আছে। অবশ্যই আমি আমাদের ভালোবাসার ডিয়েগো ফোরলানের কথা বলছি।’
ভিয়ারিয়াল ও ইন্টার মিলানেও খেলা ফোরলান ২০১৯ সালে ফুটবল ছাড়েন। গত জুনে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’য় নিজের টেনিস প্রেমের কথা বলেছিলেন ফোরলান, ‘আমার বাবা ফুটবল খেলতেন এবং অবসর নেওয়ার পর ৪১ বছর বয়সে তিনি টেনিস খেলতে শুরু করেন। আমি (টেনিস) শুরু করেছিলাম ২ বছর বয়সে। তারপর তো এটা জানাই, আমি এই খেলায় নিজেকে উৎসর্গ করার আগে ফুটবলে নিজেকে উৎসর্গ করেছি।’