ফিরে আসার গল্প কি লিখতে পারবেন ল্যাম্পার্ড–টুখেলরা

চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচ টমাস টুখেলছবি: টুইটার

এসব গল্পই চ্যাম্পিয়নস লিগকে দিয়েছে আলাদা মাহাত্ম্য। অনেক অনেক বছর পরও যা এতটুকু ম্লান হয় না। বলা হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রত্যাবর্তনের গল্পগুলোর কথা।

যখন মনে হয় সব শেষ, কোথাও কোনো আলো নেই। তখনই সেই গল্পগুলো সামনে আসে অনুপ্রেরণার আধার হয়ে। যা বলে, এখনই হেরে যাওয়া যাবে না। হারার আগেই হেরে যাওয়া যাবে না। আর ফিরে আসার এ গল্পগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয় আরেকটি নতুন গল্পের উপলক্ষ।

তেমন গল্প কি এবার লিখতে পারবেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডটমাস টুখেলরা?

প্রথম লেগে রিয়ালের কাছে চেলসি হেরেছে ২–০ গোলে, আর ম্যানচেস্টার সিটির কাছে বায়ার্ন মিউনিখ উড়ে গেছে ৩–০ গোলে। এমনকি এ মৌসুমে দুর্দান্ত খেলতে থাকা নাপোলিও  প্রথম লেগে ১–০ গোলে হেরেছে এসি মিলানের কাছে।

এ দলগুলোর সামনে এখন সুযোগ প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প লেখার। ঘুরে দাঁড়ানোর এ প্রচেষ্টায় শেষ আটের যে গল্পগুলো চেলসি–বায়ার্নকে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে, এমন ৪ গল্পে একবার চোখ ফেরানো যাক।

ভলফসবুর্গ–রিয়াল মাদ্রিদ
কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৫–১৬ মৌসুম

কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদকে চমকে দেয় ভলফসবুর্গ। প্রতিপক্ষের মাঠে সেদিন ২–০ গোলে হেরে যায় রিয়াল। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় রিয়াল। জার্মান ক্লাবটির স্বপ্নভঙ্গের পথে হ্যাটট্রিক করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। প্রথমার্ধের ১৬ ও ১৭ মিনিটে গোল করে দুই লেগের লড়াইয়ে সমতা ফেরান রোনালদো। বিরতির পর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে আরও এক গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক এবং দলের দুর্দান্ত এক ঘুরে দাঁড়ানো জয় নিশ্চিত করেন পর্তুগিজ মহাতারকা।

এএস রোমা–বার্সেলোনা
কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৭–১৮

ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে এএস রোমাকে ৪–১ গোলে উড়িয়ে দেয় বার্সেলোনা। দুর্দান্ত এ জয়ের পর লিওনেল মেসিদের সেমিফাইনালকে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু কে জানত, বার্সার জন্য পরের ম্যাচেই বদলে যাবে সব হিসাব–নিকাশ। প্রত্যাবর্তনের অনবদ্য এক গল্প লিখে দ্বিতীয় লেগে ৩–০ গোলের জয় পায় রোমা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪–৪ গোলের সমতা থাকলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতালির ক্লাবটি।

পিএসজি–চেলসি
কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৩–১৪ মৌসুম

পিএসজির মাঠে শেষ আটের লড়াইয়ে প্রথম লেগে ৩–১ গোলে পিছিয়ে যায় চেলসি। প্যারিস পরাশক্তিদের দুর্দান্ত এ জয়ের পর তাদের সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। তবে দ্বিতীয় লেগে ফিরে আসার দারুণ এক গল্প লিখে ব্লুজরা। স্টামফোর্ড ব্রিজে ২–০ গোলের জয় তুলে নিয়ে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করে চেলসি।

পোর্তো–বায়ার্ন মিউনিখ
কোয়ার্টার ফাইনাল, ২০১৪–১৫

পোর্তোর মাঠে সেবার ৩–১ গোলে হেরে এসেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। মনে হচ্ছিল ফেবারিট বায়ার্নের বোধহয় বিদায়ই হয়ে গেল। কিন্তু কে জানতে মিউনিখে পোর্তোর জন্য কী বিপদ করছে। দ্বিতীয় লেগে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বায়ার্ন। রবার্ট লেভানডফস্কির জোড়া গোলে তুলে নেয় ৬–১ গোলের দুর্দান্ত এক জয়। যা দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নকে এনে দেয় ৭–৪ গোলের দারুণ এক জয়।