সতীর্থদের কাছে ব্যাংকের লকারের চেয়ে মদরিচ বেশি নিরাপদ
কাতারে তো বিশ্বকাপের খেলা হচ্ছে, ৩২টি দলের খেলোয়াড়েরা কেউ ঘুরতে যাননি সেখানে! তাহলে টাকাপয়সা, ব্যাংকে অর্থ রাখা—এসব প্রসঙ্গ কেন আসছে! সে না হয় এল, এর মধ্যে আবার লুকা মদরিচকে টেনে আনা কেন?
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার সেমিফাইনালের আগে বিষয়টি এসেছে আসলে ফুটবলের কারণেই। আর্জেন্টিনা যেমন মেসিনির্ভর, ফ্রান্স যেমন এমবাপ্পেনির্ভর দল, ক্রোয়েশিয়া পুরোপুরি তেমন নয়। নির্দিষ্ট কোনো একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল নয় তারা। এরপরও কাতার বিশ্বকাপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক লুকা মদরিচ।
মাঝমাঠ থেকে ক্রোয়েশিয়ার খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করেন রিয়াল মাদ্রিদের তারকা মিডফিল্ডার মদরিচই। দলকে এক সুতায় গাঁথতেও বড় ভূমিকা রাখেন। ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও পুরো মাঠজুড়ে খেলেছেন মদরিচ। এই ৩৭ বছর বয়সেও ১২০ মিনিট মদরিচ ‘বল যেখানে, তিনি সেখানে’ ধরনের ফুটবল খেলেছেন। এরপর টাইব্রেকারে পেনাল্টি শট নিয়ে গোল করেছেন।
সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচেও মদরিচের এই রূপটাই দেখতে চাইবে ক্রোয়েশিয়া। আরও একবার তিনি সেটা পারবেন বলেই মনে করেন তাঁর সতীর্থরা। মদরিচের ওপর যে অগাধ বিশ্বাস লিভাকোভিচ–পেতকোভিচদের। আর না হলে সংবাদ সম্মেলনে এসে ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড পেতকোভিচ বলে দেন—ব্যাংকের লকারের চেয়েও বেশি বিশ্বাস করেন মদরিচকে!
গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া পেতকোভিচকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রোয়েশিয়ার মাঝমাঠ নিয়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি উত্তর দেন, ‘মাতেও (কোভাচিচ), লুকা (মদরিচ) ও মার্সেলো (ব্রোজোভিচ) ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসে সেরা মাঝমাঠ। আমি মনে করি না, এমনটা আর আসবে। আপনি যখন এদের কাছে বল পাস দেবেন, সেটা ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়েও নিরাপদ।’
ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪–২ ব্যবধানের জয় পায় ক্রোয়েশিয়া। ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে নেইমারের ১০৫ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এরপর ১১৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে টাইব্রেকারে নিয়ে যাওয়া গোলটি করেন বদলি হিসেবে নামা পেতকোভিচ। কালও কি এমন কিছু করতে পারবেন তিনি?