লাইপজিগ ছেড়ে ২০২০ সালে চেলসিতে যোগ দেন টিমো ভেরনার। স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটিতে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারেননি। দুই মৌসুম মিলিয়ে ৮৯ ম্যাচে করেন ২৩ গোল। তাঁর ওপর আস্থা হারিয়ে রোমেলু লুকাকুকে উড়িয়ে এনেছিল চেলসি। তাতেও কাজ হয়নি। বেলজিয়ান তারকাও গোলখরায় ভুগছিলেন।
কী আশ্চর্য! লুকাকু চেলসি ছেড়ে ধারে ইন্টার মিলানে গিয়ে যেমন গোলের দেখা পেয়েছেন, ভেরনারও তেমনি চেলসি ছেড়ে লাইপজিগে ফিরে গোল পাচ্ছেন। জার্মান স্ট্রাইকার কাল রাতে লাইপজিগের হয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রসিকতা চলছে, চেলসি কি তাহলে অভিশপ্ত!
গত আগস্টে জার্মান স্ট্রাইকার ভেরনারকে ফিরিয়ে আনে লাইপজিগ। ওদিকে নতুন মৌসুমে প্রয়োজনীয় গোলের দেখা পাচ্ছে না চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কাল রাতে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে যাওয়ার পর চেলসিকে কেউ সমতায় ফেরাতে পারেনি।
প্রিমিয়ার লিগে ৫ ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। কিন্তু ভেরনার পেয়েছেন বড় জয়ের দেখা। জার্মান কাপে প্রথম রাউন্ডে তাঁর হ্যাটট্রিকে তেওতানিয়া ওত্তেসেনকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লাইপজিগ।
বুন্দেসলিগার ক্লাবটিতে ফিরেই গোলের দেখা পাচ্ছেন ভেরনার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪ ম্যাচে এ পর্যন্ত ৪ গোল এবং ২টি গোল বানিয়েছেন। কাল হ্যাটট্রিক তুলে নেন প্রথমার্ধেই।
২০ মিনিটের মধ্যেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মান কাপের শিরোপাধারীরা। ৬০ সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন ভেরনার। ৪৩ মিনিটে সুইডিশ ডিফেন্ডার এমিল ফরসবার্গের পাস থেকে হ্যাটট্রিক তুলে নেন লাইপজিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এই গোলদাতা। জোড়া গোল করেন আন্দ্রে সিলভা। ১টি করে গোল ফরসবার্গ, ক্রিস্টোফার এনকুকু ও দানি ওলমোর।
ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল দেসাউয়ের পল গ্রেইফজু স্টেডিয়ামে। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী মাঠে রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে করায় ম্যাচটি নিয়ে যাওয়া হয় লাইপজিগের স্টেডিয়ামে। জার্মান ফুটবলে চতুর্থ বিভাগের দল ওত্তেনসেন লাইপজিগের গোলপোস্ট তাক করে একটি শটও নিতে পারেনি। হামবুর্গের দলটির ম্যাচ আয়োজনের অবকাঠামো নেই, কৃত্রিম ঘাসের মাঠে খেলে দলটি।