পিএফএ বর্ষসেরার দৌড়ে কি হলান্ড–ফোডেন লড়াই

ম্যান সিটির দুই তারকা হলান্ড–ফোডেন

টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনসের (পিএফএ) বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ড। এই তালিকায় মোট ছয় ফুটবলারের একজন হলান্ড।

তাঁর সঙ্গী হিসেবে আছেন সিটির দুই সতীর্থ ফিল ফোডেন ও রদ্রি। চেলসি থেকে জায়গা করে নিয়েছেন স্ট্রাইকার কোল পালমার। তালিকায় বাকি দুজন আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড ও অ্যাস্টন ভিলা ফরোয়ার্ড ওলি ওয়াটকিনস।

আরও পড়ুন

ইংলিশ ফুটবলের বর্ষসেরা পারফরমারকে দেওয়া এই পুরস্কার সর্বশেষবার জিতেছেন হলান্ড। ২০২২–২৩ মৌসুমের মতো দাপুটে না হলেও সর্বশেষ মৌসুমে ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলে সেরা তারকাদের একজন হলান্ড। প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে সর্বোচ্চ ২৭ গোল করেন তিনি। দলের হয়ে জিতেছেন লিগ শিরোপাও। তাই এই তালিকায় হলান্ডের থাকাটা একেবারেই অনভিপ্রেত নয়।

টানা দ্বিতীয়বার পুরস্কারটি জয়ের পথে হলান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারেন ফোডেন। দুইবারের পিএফএ তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা ফোডেন স্বপ্নের মতো একটা মৌসুম কাটিয়েছেন। সিটির অনেক জয়ে সরাসরি অবদানও রেখেছেন। যে কারণে এর আগে ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফডব্লিউএ) পুরস্কারও উঠেছিল তাঁর হাতে। এখন ফোডেনের হাতে পিএফএর বর্ষসেরা পুরস্কারের ট্রফি ওঠে কি না, সেটা দেখার অপেক্ষা।

বর্ষসেরার দৌড়ে আছেন কোল পালমার
এএফপি

সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পাওয়া সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হলেন রদ্রি। গত মৌসুমে সিটির মিডফিল্ডকে ক্ষুরধার রেখেছিলেন রদ্রি। প্রচুর আক্রমণের ভিতও গড়ে দিয়েছেন। সিটির পাশাপাশি স্পেনকে ইউরোও জিতিয়েছেন। কেউ কেউ তো তাঁকে ব্যালন ডি’অরের যোগ্যও মনে করেন।

গত মৌসুমে অন্যতম চমক ছিল চেলসির পালমার। সিটি থেকে এসে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, চেলসিকে পথ দেখিয়েছেন। সরাসরি গোলে অবদান বিবেচনা করলে বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়ে পালমার। যেখানে ২২ গোলের সঙ্গে আছে ১১টি অ্যাসিস্ট।
৮ গোল করা আর্সেনাল অধিনায়ক ওডেগার্ডকেও রাখা হয়েছে এ তালিকায়।

আরও পড়ুন

আর্সেনালের হয়ে শিরোপা জিততে না পারলেও মৌসুমজুড়ে ওডেগার্ড ছিলেন দুর্দান্ত। দলকে জেতাতে একাধিকবার ভূমিকা রেখেছেন। অ্যাস্টন ভিলার হয়ে লিগে ১৯ গোল ও ১৩টি সহায়তা করা ওয়াটকিনসের জন্য অবশ্য বাকিদের পেছনে ফেলে পুরস্কার জেতা বেশ কঠিনই।

নারীদের সংক্ষিপ্ত তালিকার ছয়টি স্থান ভাগাভাগি করে নিয়েছে সিটি ও চেলসি। চেলসি থেকে জায়গা পাওয়া তিনজন হলেন এরিন কাথাবার্থ, লরেন জেমস ও নিমা চার্লস। আর সিটি থেকে যে তিনজনকে জায়গা পেয়েছেন, তাঁরা হলেন বানি শ, লরেন হেম্প ও ইউয়ি হাসেগাওয়া।