রিয়ালকে সরিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি এখন সবচেয়ে দামি ফুটবল ব্র্যান্ড
ম্যানচেস্টার সিটি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারে এ মৌসুমে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘ট্রেবল’ জয়ের সুযোগও পাচ্ছে ইংলিশ ক্লাবটি। ১০ জুন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জিতলেও এই দুই ‘প্রথম’–এর দেখা পেয়ে যাবে পেপ গার্দিওলার দল। তবে তার আগেই আরেকটি ‘প্রথম’–এর দেখা পেয়ে গেল ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ক্লাবটি।
ব্র্যান্ডমূল্য যাচাইয়ের গবেষণা ও কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ‘ব্র্যান্ড ফিন্যান্স ফুটবল ৫০’–এর জরিপে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল ব্র্যান্ডের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ চ্যাম্পিয়নদের ব্র্যান্ডমূল্য ১৩০ কোটি পাউন্ড।
ব্র্যান্ড ফিন্যান্স বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের দাম ও শক্তি জরিপকারী নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন খাতে বিশ্বের সেরা সব ব্র্যান্ডের দাম ও শক্তি জরিপ করে আসছে ব্র্যান্ড ফিন্যান্স। প্রতি বছর এক শ–র বেশি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই প্রতিষ্ঠান।
করোনা মহামারির পর সিটির ব্র্যান্ডমূল্য ইতিবাচকভাবে ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। আর তাতে রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে সিটি। গত ছয় বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাব সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাব ব্র্যান্ডের তালিকায় শীর্ষে উঠে এল।
এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছে সিটি। প্রিমিয়ার ও এফএ কাপ জেতায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর ইংল্যান্ডের প্রথম ক্লাব হিসেবে ‘ট্রেবল’ জয়ের সুযোগ সিটির সামনে। আর মৌসুমটা সফল করে তোলার পাশাপাশি সর্বোচ্চ পরিমাণ আয়ও করেছে সিটি। তাতেই ব্র্যান্ডমূল্যে শীর্ষে উঠে এসেছে ইংল্যান্ডের ক্লাবটি।
ব্র্যান্ড ফিন্যান্সের হিসাবে এই মৌসুমে সিটির ব্র্যান্ডমূল্য বেড়েছে ১৫ শতাংশ।
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে এবার সিটির কাছে হারের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবল ক্লাব ব্র্যান্ডের তালিকায় দুইয়ে নেমে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদের ক্লাবটির ব্র্যান্ডমূল্য ১২৬ কোটি পাউন্ড। ব্র্যান্ড ফিন্যান্সের খেলা বিভাগের প্রধান হুগো হেনসলি এই জরিপ নিয়ে বলেছেন, ‘ফুটবল ক্লাবের ব্র্যান্ডে রিয়াল মাদ্রিদকে সরিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির শীর্ষে উঠে আসাটা অসাধারণ অর্জন। প্রায় এক দশক ধরে ইংলিশ ফুটবলে আধিপত্য ধরে রেখেছে সিটি। গত পাঁচ মৌসুমে চারবার প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। তবে এই বছরের পারফরম্যান্স বলছে ম্যানচেস্টার সিটি মাঠের বাইরেও তাদের ব্র্যান্ড সুসংহত করেছে এবং ভক্ত ও স্পনসরদের আকৃষ্ট করতে পেরেছে।’
তালিকার শীর্ষ দশে আরও পাঁচটি ইংলিশ ক্লাব জায়গা করে নিয়েছে। ১১৭ কোটি পাউন্ড ব্র্যান্ডমূল্য নিয়ে চারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তাদের সমান মূল্য নিয়ে পাঁচে লিভারপুল। অষ্টম, নবম ও দশম জায়গা তিনটি যথাক্রমে আর্সেনাল, টটেনহাম হটস্পার ও চেলসির।
শীর্ষ দশে ইংল্যান্ড থেকে ৬ ক্লাব, স্পেন থেকে দুটি ক্লাব এবং জার্মানি ও ফ্রান্স থেকে একটি করে ক্লাব জায়গা করে নিয়েছে। ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর আধিপত্যের কারণও বুঝিয়ে বলেছেন হুগো হেনসলি, ‘শীর্ষ ৫০ ক্লাবের যে ব্র্যান্ডমূল্য, তার ৪৫ শতাংশ ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর। আর প্রিমিয়ার লিগও সর্বোচ্চ ১৮টি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে, এর মধ্যে লন্ডনের ৭টি ক্লাবের মূল্য সিরি ‘আ’ কিংবা লিগ আঁর সব কটি ক্লাবের চেয়ে বেশি। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর যে আর্থিক শক্তি, তাতে এটাই হওয়ার কথা ছিল।’