এমন একটা মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন সন
চোটের কারণে বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। শঙ্কার কালো মেঘ দূর করে বিশ্বকাপ খেললেন, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পার্থক্যও গড়ে দিলেন। বলা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা সন হিউং মিনের কথা।
গতকাল রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে পর্তুগালকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ওঠে দক্ষিণ কোরিয়া। যে জয়ে কোরিয়া ও উরুগুয়ের সমান ৪ পয়েন্ট ও গোল পার্থক্যও সমান হয়। তবে বেশি গোল করায় গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে নকআউটের টিকিট পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াই।
ম্যাচের ৯১ মিনিট পর্যন্তও ম্যাচে সমতা ছিল। তখন পর্যন্ত গ্রুপ ‘এইচ’ গ্রুপের সমীকরণ অনুযায়ী উঠে যেত উরুগুয়ে ও পর্তুগাল। তবে সেই মুহূর্তে সং হিউং মিন জাদুই পাল্টে দেয় কোরিয়ানদের ভাগ্য। পাল্টা আক্রমণে নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি–বক্সের দিকে যান সন হিউং-মিং। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের চ্যালেঞ্জ সামলে তিনি পাস দেন সতীর্থ হোওয়াং হি চানকে। বাকি কাজটা করেন হি চান।
২০১০ বিশ্বকাপের পর প্রথমবার নকআউট রাউন্ডে খেলবে কোরিয়া। রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে জার্মানিকে হারালেও সেবার নকআউটে খেলা হয়নি তাদের। এবার সেই স্বপ্নপূরণ হলো সনের। কারণ, তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলা সন এবারই প্রথমবার খেলবেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড।
শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়েরা। সনেরও চোখ ভিজে যায়। ম্যাচ শেষে আবেগ ছুঁয়ে যাওয়া সন জানিয়েছেন সেই আনন্দাশ্রুর কারণ, ‘এমন একটা মুহূর্তের জন্যই আমি এত দিন ধরে অপেক্ষা করেছি। বিশ্বাস ছিল, আমরা পারব।’
দক্ষিণ কোরিয়া দলের অধিনায়ক সন। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি সাতবার এশিয়ার সেরা ফুটবলার হওয়া এই তারকা। ম্যাচ জেতানো মুহূর্ত উপহার দেওয়ার পর সন সে দুই ম্যাচে নিজের ব্যর্থতার কথাও ভুলে যাননি, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি আমার সেরাটা দিতে পারছিলাম না। তখন আমার সতীর্থরা আমার পাশে ছিল। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আমার দলকে নিয়ে গর্বিত।’
দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫টি গোল করেছেন সন। বিশ্বকাপে গোল করেছেন ৩টি। কোরিয়ার বিশ্বকাপ–যাত্রা আরও সামনে নিয়ে যেতে টটেনহামের এই তারকাকে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বেও জ্বলে উঠতেই হবে। কারণ, বিশ্বকাপ নকআউট পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ব্রাজিল।