মেসিকে বার্সায় ফিরতে না করলেন রিয়ালের সাবেক তারকা
সৌদি আরব সফরকে কেন্দ্র করে পিএসজির সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্কটা ভেঙে গেছে একেবারেই। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সঙ্গে মেসির চুক্তি নবায়ন না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি। এর অর্থ আগামী জুনে মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ক্লাবহীন।
তখন মেসি কোথায় যাবেন? তাঁর পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনায় ফিরবেন, নাকি সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে যোগ দেবেন বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে? রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি গুতি মনে করেন, মেসির বার্সেলোনায় ফেরা উচিত হবে না।
বিশ্বকাপের পর থেকেই মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে কথা উঠেছে। বার্সেলোনা সমর্থকেরা এ সম্ভাবনায় বেজায় রোমাঞ্চিত। বার্সেলোনার কর্তারা মেসিকে ফেরানোর কথা বলছেন প্রায়ই। কিন্তু ব্যাপারটি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে আলোচনা আছে। বার্সেলোনার বর্তমান আর্থিক অবস্থায় মেসির মতো একজন দামি ফুটবলারকে দলে নেওয়ার সামর্থ্য আছে কি না, আলোচনাটা সেটি নিয়েই। মেসিকে দলে নিতে বার্সেলোনাকে অনেক শর্তই পূরণ করতে হবে।
উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে হবে সবকিছু, এমনকি লা লিগার বেঁধে দেওয়া বেতনসীমার মধ্যেও থাকতে হবে তাঁর বেতন। মেসিকে নিতে বর্তমান দল থেকেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিদায় করে দিতে হবে। মোটকথা, অনেক কিছুই জড়িয়ে আছে মেসির বার্সেলোনায় ফেরার সঙ্গে। তবে এটাও ঠিক যে পিএসজির সঙ্গে সম্পর্কছেদের পর মেসি নিজেও তাঁর পুরোনো ক্লাবেই ফিরতে চাইবেন। ক্যাম্প ন্যু যে তাঁর কাছে একধরনের ‘স্বস্তির জায়গা’।
তবে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে বার্সেলোনায় ফিরতে মানা করছেন অনেকেই। এর মধ্যে আছেন ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী তারকা মারিও কেম্পেস। এবার কেম্পেসের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন গুতিও। সাবেক এই স্প্যানিশ ফুটবলার মনে করেন, মেসির যদি আরও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার ইচ্ছা থাকে, তাহলে বার্সেলোনা মোটেও আদর্শ কোনো ক্লাব নয়। কারণ, এই মুহূর্তে বার্সা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার মতো দলই নয়।
এল চিরিঙ্গুইতো টিভিকে গুতি বলেছেন, ‘আমি যদি মেসি হতাম, কোনোভাবেই বার্সেলোনায় ফেরত যেতাম না। সে এরই মধ্যে বার্সেলোনায় সম্ভব–অসম্ভব প্রায় সবকিছুই অর্জন করেছে। বার্সেলোনা তাঁর মতো খেলোয়াড় নিয়েও এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারবে না।’
গুতি বা কেম্পেস যা–ই বলুন, বার্সেলোনা এখন মেসিকে ফেরাতে বেশ তৎপর। তারা এরই মধ্যে লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছে মেসিকে ফেরানোর অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অপেক্ষায় আছে লা লিগার অনুমোদনের। সবুজ সংকেত পেলেই বার্সা মেসির চুক্তি ও বেতনসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করবে।