আজ আনচেলত্তির মাইলফলক ছোঁয়ারও রাত
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অতিথি পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগটা আজ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির জন্য এমনিতেই মহাগুরুত্বপূর্ণ। ফিরতি লেগ ইতিহাদে। ফলে সেমিফাইনালের যেতে হলে এই ম্যাচেই রিয়ালকে যতটা পারা যায় এগিয়ে থাকতে হবে।
আরও একটা কারণে এই ম্যাচ আনচেলত্তির জন্য বিশেষ। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোচ হিসেবে এটা যে তাঁর ২০০তম ম্যাচ! মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচটা নিশ্চয়ই স্মরণীয় করে রাখতে চাইবেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচিং করানোর রেকর্ডটা অবশ্য আরও আগে থেকেই আনচেলত্তির। গত বছর ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটা দিয়ে তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আরেক কিংবদন্তি স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনকে (১৯০ ম্যাচ)। তবে সেই ম্যাচ আনচেলত্তি মনে রাখতে চাইবেন বলে মনে হয় না। সিটির কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছিল রিয়াল।
কী কাকতাল! সেই সিটির বিপক্ষেই আজ মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচ আনচেলত্তির। পার্থক্য শুধু আজ রিয়াল খেলবে নিজের মাঠে। তাঁর শিষ্যরা নিশ্চয়ই চাইবেন আজ কোচকে স্মরণীয় এক ম্যাচ উপহার দিতে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম কোচ হিসেবে ২০০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন আনচেলত্তি। তবে এই হিসাবটা শুধু ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে, ইউরোপিয়ান কাপ নাম ও ফরম্যাট বদলে চ্যাম্পিয়নস লিগ হওয়ার পর। কিন্তু ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে রেকর্ডটা এখনো স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ১৯০ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নস লিগের ডাগআউটে থাকার আগে যিনি স্কটিশ ক্লাব অ্যাবারডিনের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপের ডাগআউটে ছিলেন ১২ ম্যাচ। সব মিলিয়ে ইউরোপের শীর্ষ এই টুর্নামেন্টে স্যার ফার্গুসন কোচিং করিয়েছেন ২০২ ম্যাচ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এর আগে ১৯৯ ম্যাচের মধ্যে আনচেলত্তি রিয়ালের কোচ হিসেবে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন ৫৮ ম্যাচে। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অবশ্য রিয়ালের হয়ে নয়, এসি মিলানের হয়ে তিনি চ্যাম্পিয়নস লিগের ডাগআউটে ছিলেন ৭৩ ম্যাচে। এর বাইরে পারমা (৬), জুভেন্টাস (১০), চেলসি (১৮), পিএসজি (১০), বায়ার্ন মিউনিখ (১২) ও নাপোলিকেও (১২) চ্যাম্পিয়নস লিগে কোচিং করিয়েছেন।
রিয়ালকে দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর আগে আনচেলত্তি এসি মিলানকেও জিতিয়েছেন দুবার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল কোচও তিনি। এ ছাড়া এসি মিলানের হয়ে ২০০৪-০৫ ফাইনালে হেরেছেন লিভারপুলের কাছে। সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে পাঁচটা ফাইনালের ডাগআউটে থাকার অভিজ্ঞতাও একমাত্র আনচেলত্তিরই।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডও ইতালিয়ান এই কোচের। ১৯৯ ম্যাচের ১১৪টিতে জিতেছেন। এই তালিকায় দ্বিতীয় যিনি, সেই পেপ গার্দিওলাকেই আজ বার্নাব্যুতে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছেন আনচেলত্তি। বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৬৭ ম্যাচে ডাগআউটে থেকে গার্দিওলা জিতেছেন ১০৯ ম্যাচ।