‘ইউনাইটেড থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতেই রোনালদোর এমন সাক্ষাৎকার’
পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যাঁদের সমালোচনা করেছিলেন, তাঁদের একজন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল। রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমরা একসঙ্গে খেললেও বন্ধু নই।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই ফুটবলার বরাবরই রোনালদোর কট্টর সমালোচক। খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়ার ঘটনাতেও পর্তুগিজ তারকার সমালোচনা করেছিলেন নেভিল। নেভিলের সমালোচনা রোনালদো যে খুব একটা ভালোভাবে নেন না, তা এখন স্পষ্ট।
রোনালদোর মুখে নিজের সমালোচনা শুনলেও দমে যাননি নেভিল। রোনালদো ইস্যুতে আবারও সরব ইউনাইটেডের সাবেক এই তারকা। নেভিলের মতে, ক্লাব ছাড়ার উপায় খুঁজতেই নাকি এমন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রোনালদো। স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আর ফিরতে চায়। ফিরতে চাইলে সে কখনোই এমন সাক্ষাৎকার দিত না। সে জানত, তার কথা এভাবে আলোচনায় আসবে, যে কারণে তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অধ্যায়ও শেষ হবে।’
চলতি মৌসুমে কোচ টেন হাগ ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রোনালদোর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। প্রাক্-মৌসুম পর্বে রোনালদোর অনুপস্থিতি দিয়ে যার শুরু, সেই সম্পর্ক পরবর্তী সময়ে পরিণত হয়েছে তিক্ততায়। চলতি মৌসুমে বেশির ভাগ ম্যাচেই শুরুর একাদশে জায়গা পাননি রোনালদো। এত টানাপোড়েনের কারণে রোনালদোর সঙ্গে ইউনাইটেডের সম্পর্ক যে টিকবে না, সেটা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল।
নেভিল মনে করেন, পর্তুগিজ তারকার সঙ্গে ইউনাইটেডের সম্পর্ক অন্যভাবেও শেষ করলেই ভালো হতো, ‘রোনালদো দল ছাড়তে চেয়েছিল, তবে এভাবে রোনালদোর ইউনাইটেডে–অধ্যায় শেষ না হলেও পারত। সপ্তাহ দুই আগে তারা নিজেরা বসে একটা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে পারত। কিন্তু সেটা হয়নি। ক্লাব ও রোনালদো, সবাই তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে।’
সাক্ষাৎকারে রোনালদো শুধু কোচের কিংবা ক্লাব মালিকদের সমালোচনাই করেননি, সঙ্গে কথা বলেছেন ইউনাইটেডের ফুটবলারদের নানা অসুবিধা নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, স্যার অ্যালেক্স চলে যাওয়ার পর উন্নতিই হয়নি ক্লাবের।
রোনালদোর অনেক কথার সঙ্গেই নেভিল একমত, ‘রোনালদোর অনেক কথার সঙ্গেই আমি একমত, অনেক ইউনাইটেড সমর্থকেরাও একমত হবেন। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে থেকে তাদের বিরুদ্ধে এমন কথা বললে তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে হবে, যেটা ইউনাইটেড আগামী কয়েক দিন পর করবে।’