- স্বাগতম!
- স্টেডিয়ামে ঢুকেছে দুই দল
- হামজা–চরিত
- হামজাকে নিয়েই বাংলাদেশের একাদশ
- জামালের ভূমিকা কি হামজার?
- ভারতের একাদশ
- মাঠে দুই দল
- জাতীয় সঙ্গীতের পর করতালি হামজার
- কিক অফের পরই গোল মিস!
- মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ ও বল দখলের লড়াই
- আবারও সুযোগ এসেছিল!
- হামজার কর্নার কিক
- এভাবেও সুযোগ নষ্ট করা যায়!
- ইমনের হেড হলেই গোল! কিন্তু হলো না...
- স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন তপু
- ভারতের প্রথম শট
- মিতুলে বাঁচল বাংলাদেশ
- রাকিবের একক চেষ্টা
- সুযোগ নষ্ট আবারও, আর কত?
- প্রথমার্ধ শেষ, ভারত ০–০ বাংলাদেশ
- দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ঢিমেতালে শুরু
- জনি কি ক্লান্ত?
- আবারও সুযোগ নষ্ট বাংলাদেশের
- ভারতের জোড়া পরিবর্তন
- হলুদ কার্ড দেখলেন হৃদয়
- বেঁচে গেল বাংলাদেশ
- ফারুককে তুলে নিল ভারত
- মোরছালিন ও হৃদয় উঠলেন
- শুভাশীষ ও ছেত্রীকে তুলে নিল ভারত
- কামান দাগলেন ফয়সাল, কিন্তু হলো না!
- অতিরিক্ত সময় ৫ মিনিট
- শেষ দিকে চাপ তৈরির চেষ্টা ভারতের
- আহ! রাকিব! এই মিস করে!
- শেষ বাঁশি এবং আফসোস
স্বাগতম!
বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক ম্যাচ। বাঁক বদলেরও কি?
ম্যাচটি এশিয়ান কাপের বাছাই। প্রতিপক্ষ ভারত। অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য। তবে এ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই ঐতিহাসিক এক প্রেক্ষাপট আছে বাংলাদেশের জন্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো খেলোয়াড় এই ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো পরবেন বাংলাদেশের জার্সি। হ্যাঁ, হামজা চৌধুরী!
হামজাকে প্রেরণা বানিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলের বাঁক কি বদলাতে পারবে হাভিয়ের কাবরেরার দল?
ভারতও কম যায় না। অবসর ভেঙে ফিরিয়েছে তাঁদের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রীকে। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ এখন যেন হামজা-ছেত্রী লড়াই! ক্রিকেটের বাইরে ভারতের বিপক্ষে ফুটবল ম্যাচ নিয়েও উন্মাদনা প্রচুর বাংলাদেশে। হামজাকে পাওয়ার পর সেই উন্মাদনা এখন নতুন গতি পেয়েছে।
‘সি’ গ্রুপ থেকে এটাই ভারত–বাংলাদেশের প্রথম মুখোমুখি হওয়া। ফিরতি লেগ খেলতে নভেম্বরে বাংলাদেশে আসবে ভারত।
বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ কোথায় দেখবেন, জানতে হলে ক্লিক করুন নিচের লিংকে।
স্টেডিয়ামে ঢুকেছে দুই দল
শিলংয়ের জওরলাল নেহেরু স্টেডিয়াম থেকে প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক মাসুদ আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টার পর দুই দলের খেলোয়াড়েরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। শিলংয়ের ঐতিহ্যবাহী বাসে করে প্রথমে এসেছেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। এরপর এসেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ছোট ছোট বাসে করে এসেছেন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। কোনো দলই একটি বাসে সব খেলোয়াড় আনেনি।
গ্যালারিতে এখনো দর্শকের আনাগোনা নেই।
হামজা–চরিত
লেস্টার সিটির বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা হামজা চৌধুরী পরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির সিনিয়র দলের হয়ে এফএ কাপ জিতেছেন। এ বছর জানুয়ারিতে যোগ দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নশিপের (ইংলিশ ফুটবলে দ্বিতীয় স্তর) দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে।
হামজাকে নিয়ে আরও কিছু জানতে চাইলে ক্লিক করুন নিচের লিংকগুলোয়:
হামজা–জাদুতে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর স্বপ্ন বাংলাদেশের
হামজার সঙ্গে আমাদের ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে: তপু
হামজা আসলে কতটা ভালো, কী বলছেন তাঁর বাংলাদেশ-সতীর্থ
হামজার মতো বিদেশ থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আনতে চায় ভারত
হামজাকে নিয়ে কী বললেন ভারত কোচ
হামজা চৌধুরী কে, কেমন খেলেন, বাংলাদেশ দল কতটা উপকৃত হবে
হামজাকে কোন পজিশনে খেলাবেন কাবরেরা
হামজাকে নিয়েই বাংলাদেশের একাদশ
শিলং থেকে প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক মাসুদ আলম জানিয়েছেন, ভারত ম্যাচের এক ঘণ্টা আগে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশের একাদশ। দলে অনুমিতভাবেই আছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশের জার্সিতে একটু পরই তাঁর অভিষেক। ফিরেছেন তারিক কাজী। তবে একাদশে নেই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন সেন্টার ব্যাক তপু বর্মণ।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর লড়াই।
বাংলাদেশের একাদশ: মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, শাকিল তপু, সাদ উদ্দিন, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, রাকিব হোসেন, শেখ মোরছালিন, শাহরিয়ার ইমন।
জামালের ভূমিকা কি হামজার?
জামাল ভূঁইয়ার বেঞ্চে বসে থাকার অর্থ হলো, মাঝমাঠে তাঁর ডিপ প্লে–মেকিংয়ের ভূমিকা নিতে হবে অন্য কাউকে। সেই ব্যক্তিটি কি হামজা চৌধুরী? ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে খেলতে হামজা অভ্যস্ত হলেও আজ মাঝ মাঠেই একটু ওপরে খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ড নাকি অ্যাটাকিং মিডফিল্ড?
৪–৩–৩ কিংবা ৪–৩–১–২ ছকে বাংলাদেশকে খেলাবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
গ্যালারিতে আছেন হামজা চৌধুরীর বাবা–মা।
ভারতের একাদশ
ভিশাল কাইথ (গোলকিপার), রাহুল ভেকে, শুভাশীষ বোস, সন্দেশ ঝিংগান, লিস্টন কোলাচো, ফারুখ চৌধুরী, উদান্ত সিং, সুনীল ছেত্রী, আয়ুশ ছেত্রী, আপুয়িয়া, বোরিস সিং।
মাঠে দুই দল
ভারতের অধিনায়ক সন্দেশ ঝিংগান দল নিয়ে মাঠে ঢুকেছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক তপু বর্মণও দল নিয়ে মাঠে ঢুকেছেন। কিছুক্ষণ পরই জাতীয় সঙ্গীত।
জাতীয় সঙ্গীতের পর করতালি হামজার
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত সতীর্থদের কাঁধ মিলিয়ে গাইলেন হামজা চৌধুরী। এরপর করতালি দিয়ে একটু হাসলেন। ফুরফুরে মেজাজেই আছেন হামজা। অভিষেকেই তাঁর কাছ থেকে সেরাটা চায় বাংলাদেশ।
কিক অফের পরই গোল মিস!
কিক অফ শুরুর পরই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ১ মিনিটের (৩১ সেকেন্ড) মাথায় ভুল করে বল বাংলাদেশের মিডফিল্ডার জনির কাছে দিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের গোলকিপার ভিশাল কাইথ। পোস্ট খালি পেয়েও নেটের পাশে শট মেরেছেন জনি। বড় মিস!
মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ ও বল দখলের লড়াই
জনি সুযোগ নষ্ট করার পর চলছে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লড়াই। ভারত দুই উইং ব্যবহার করে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে। ৫ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিকও পেয়েছে ভারত।
বাংলাদেশ তুলনামূলক আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলছে।
আবারও সুযোগ এসেছিল!
৯ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত মোরসালিনের ক্রস পেয়েছিলেন বক্সে দাঁড়ানো শাহরিয়ার ইমন। তাঁর হেড ভারতের পোস্টের পাশ ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়। গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ
হামজার কর্নার কিক
ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় কর্নার পেয়েছিল বাংলাদেশ। হামজার কর্নার থেকে বল ভারতের গোলকিপারের হাতে।
এভাবেও সুযোগ নষ্ট করা যায়!
কর্নারের পরই ভারতের গোলকিপার ভিশাল কিক নিতে যাওয়ার সময় বল তপুর পেছনে লেগে বাঁ প্রান্তে চলে যায়। ফাঁকা পোস্ট সামনে রেখে বল পেয়ে যান হৃদয়। সামনে ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ এলেও বাঁ পায়ের শটে বল তাঁর পায়ে মারেন হৃদয়। অথচ একটু উঁচুতে শট নিলেই গোল হতো!
অবিশ্বাস্য সুযোগ নষ্ট বাংলাদেশের।
ইমনের হেড হলেই গোল! কিন্তু হলো না...
১৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে থ্রু দিয়েছিলেন হামজা। জনি সুযোগের স্বদ্যবহার করতে পারেননি। ক্রস করলেও বক্সে থাকা খেলোয়াড় বল ধরতে পারেননি। পরের মিনিটেই এসেছিল দারুণ এক সুযোগ!
বাঁ প্রান্ত থেকে মোরসালিনের ক্রস বক্সের ভেতরে পড়েছিল। ইমন একদম আনমার্কড ছিলেন। শূন্যে লাফিয়ে বলটা মাথায় ঠিকমতো নিতে পারলেই গোল! কিন্তু হেডটি ঠিকমতো করতে পারেননি ইমন।
ভারতের পোস্ট বাংলাদেশ এ পর্যন্ত চারটি শট নিয়েছে। ভারত একটিও নিতে পারেনি। বোঝাই যাচ্ছে, চাপে স্বাগতিকরা।
গ্যালারিতে দর্শক উত্তেজিত। দারুণ এক ফুটবল ম্যাচ!
স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন তপু
চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তপু। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েও ভালো বোধ না করায় ২১ মিনিটে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। নির্ভরতার প্রতীক তপুর বদলি হিসেবে নেমেছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।
তপু মাঠ ছাড়ার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড রহমতের হাতে উঠলেও নেপথ্য অধিনায়ক হামজা। খেলার ধাঁচে সেটাই মনে হচ্ছে।
বিপজ্জনক হেড!
২২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে উড়ে আসার ক্রস বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হৃদয় এমনভাবে হেড করলেন যে, বল দূরের পোস্টে চোখ রাঙিয়ে কর্নার হয়। ক্লিয়ার করতে এসব হেডে আরও সাবধানতার কথা বললেন ধারাভাষ্যকার।
ভারতের প্রথম শট
২৭ মিনিটে ভারতের ফরোয়ার্ড ফারুক ক্রস ফেলেছিলেন বাংলাদেশের বক্সে। মিডফিল্ডার লিস্টন কোলাসো বক্সে ভলি করলেও শটে জোর ছিল না। শিশুকে কোলে তুলে নেওয়ার মতো বল কোলে তুলে নেন বাংলাদেশের গোলকিপার মিতুল মারমা।
মিতুলে বাঁচল বাংলাদেশ
৩১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে হেড করেছিলেন ভারতের স্ট্রাইকার উদান্ত। বল মিতুল ঠেকানোর পর ফিরতি বলে শট নেন ফারুক। মিতুল এবারও বলটি ঠেকান। শটে যদিও জোর ছিল না।
বেঁচে গেল বাংলাদেশ।
রাকিবের একক চেষ্টা
৩৭ মিনিটে বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে ভারতের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড রাকিব। দুর্বল শট সহজেই রুখে দেন ভারতের গোলকিপার ভিশাল কাইথ। বক্সে ঠিক সময়ে ইমন ঢুকতে পারলে রাকিব হয়তো ক্রস করতেন।
সুযোগ নষ্ট আবারও, আর কত?
৪১ মিনিটে ভারতের এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন জনি। সামনে ছিলেন শুধুই ভারতের গোলকিপার ভিশাল। কিন্তু জনি এ যাত্রায়ও শট নিতে পারলেন না। পরিস্কার সুযোগ নষ্ট আবারও!
প্রথমার্ধ শেষ, ভারত ০–০ বাংলাদেশ
প্রথমার্ধে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল ২ মিনিট। এই ২ মিনিটে কোনো দলই সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
কিন্তু প্রথম ২০ মিনিটে পরিস্কার তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। ৩১ সেকেন্ডেই গোল পেতে পারতেন জনি। ভারতের গোলকিপারের ভুল পাস পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি। এরপর হেডে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ইমন। হৃদয়ও গোলের পরিস্কার সুযোগ নষ্ট করেন।
প্রথমার্ধ শেষে খেলার মান ও ধাঁচ বিচারে বাংলাদেশ এগিয়ে। ভারতই উল্টো চাপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। প্রথমার্ধে তপু বর্মনের মাঠ ছেড়ে যাওয়া বড় ধাক্কা।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ঢিমেতালে শুরু
দ্বিতীয়ার্ধে কিক অফ করল ভারত। খেলা চলছে ঢিমেতালে। কোনো দলই তাড়াহুড়াে করে ভুল করতে চাচ্ছে না। মাঝমাঠে চলছে বল দখলে নিয়ে জমাট আক্রমণে ওঠার লড়াই।
প্রথমার্ধে তিনটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় ভারত এখনো ম্যাচে টিকে আছে। দ্বিতীয়ার্ধে ভুলের সুযোগ নেই।
৪৭ মিনিটে হামজা দেখালেন তাঁর ডিফেন্সিভ ম্যাজিক। বাঁ উইং চিরে বল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিলেন ভারতের লিষ্টন। বেশ দূর থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে ট্যাকল করেন হামজা। লিস্টন দৌড়ে ভেতরে ঢুকলে বিপদ হতে পারত বাংলাদেশের।
জনি কি ক্লান্ত?
৫৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত চিরে আবারও দৌড় শুরু করেছিলেন ভারতের মিডফিল্ডার লিস্টন। জনি পেছন থেকে গিয়ে বল দখলে নিয়েও রাখতে পারেননি। লিস্টনের চ্যালেঞ্জের সামনে তাঁকে দুর্বল লেগেছে। লিস্টন বক্সে ক্রস করার পর সুনীল ছেত্রী লাফালেও হেডে বল পাননি।
আবারও সুযোগ নষ্ট বাংলাদেশের
আর কত?
৬১ মিনিটে রাকিবের প্রেসিংয়ে পড়ে বল আবারও ভুল পাস দিয়ে বসেন ভারতের গোলকিপার বিশাল কাইথ। বলটা পেয়ে যান জনি। ডিফেন্ডার শুভাশীষকে কাটিয়ে যেভাবে জনি শট নিতে চেয়েছিলেন কিংবা ক্রস করতে, সেভাবে পারেননি।
জনি বল পাওয়া মাত্র শট নিলে কি গোলের সম্ভাবনা জাগত? যা করেছেন তার চেয়ে অন্তত শট নেওয়াটা বেশি কার্যকর ছিল।
ভারতের জোড়া পরিবর্তন
৬৫ মিনিটে দুজন খেলোয়াড় বদল করলেন ভারতের কোচ মানোলো মার্কেজ।
দুই মিডফিল্ডার উদান্ত ও আয়ুশকে তুলে সুরেশ ও মহেশকে মাঠে নামানো হয়েছে। দুজনেই মিডফিল্ডার।
হলুদ কার্ড দেখলেন হৃদয়
মাঝমাঠে আপুয়িয়াকে অবৈধ চ্যালেঞ্জে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হৃদয়। দুজনেই আঘাত পেয়েছেন। লেবাননিজ রেফারি হুসেইন আবু এহিয়া কি লঘু পাপে গুরুদন্ড দিলেন হৃদয়কে?
বেঁচে গেল বাংলাদেশ
৭৩ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে মার্কারকে দূরে ঠেলে হেড নিয়েছিলেন ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ। বুলেট গতির হেড পোস্টে পাশ দিয়ে চলে যায়।
ফারুককে তুলে নিল ভারত
প্রথমার্ধে তেমন ভালো খেলতে পারেননি। বিরতির পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ফরোয়ার্ড ফারুককে তুলে মিডফিল্ডার ব্রাইসন ফার্নান্দেজকে মাঠে নামিয়েছেন ভারতের কোচ মানোলো মার্কেজ।
মোরছালিন ও হৃদয় উঠলেন
৭৮ মিনিটে মোরছালিন ও হৃদয়কে তুলে দুই মিডফিল্ডার মোহাম্মদ সোহেল ও সোহেল রানাকে মাঠে নামিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
শুভাশীষ ও ছেত্রীকে তুলে নিল ভারত
৮৫ মিনিটে ডিফেন্ডার শুভাশীষ ও স্ট্রাইকার ছেত্রীকে তুলে ইরফান ও আশিককে মাঠে নামিয়েছে ভারত। ইরফান ফরোয়ার্ড ও আশিক মিডফিল্ডার।
৮৪ মিনিটে বক্সে হেড থেকে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ছেত্রী।
কামান দাগলেন ফয়সাল, কিন্তু হলো না!
লং থ্রোয়ের পর জটলার ভেতর থেকে ফিরতি বল পেয়েছিলেন বদলি নামা স্ট্রাইকার ফয়সাল। বাঁ প্রান্তে বেশ দূরত্ব থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট নেন। বলটি কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন ভারতের গোলকিপার বিশাল কাইথ।
অতিরিক্ত সময় ৫ মিনিট
দ্বিতীয়ার্ধে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। যোগ করা সময় দেওয়া হয়েছে ৫ মিনিট। প্রথমার্ধে যোগ করা সময় ছিল ২ মিনিট।
শেষ দিকে চাপ তৈরির চেষ্টা ভারতের
শেষ দিকে ক্লান্তিতে কি ভুল পাস খেলছে বাংলাদেশ?
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এমনই এক ভুল পাসে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতের ব্রাইসন। তাঁর শট ক্লিয়ার করেন হামজা।
আহ! রাকিব! এই মিস করে!
চতুর্থ মিনিটের শেষ দিকে বক্সের বাঁ দিকে বল পেয়ে পোস্টের বাইরে উড়িয়ে মারেন রাকিব। শেষ সুযোগটাও নষ্ট করল বাংলাদেশ।
শেষ বাঁশি এবং আফসোস
শেষ বাঁশি বাজালেন রেফারি। ম্যাচ শেষ। ভারত ০–০ বাংলাদেশ।
গোলের পাঁচটি পরিস্কার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। গোল করতে না পারায় ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো হাভিয়ের কাবরেরার দলকে। কিন্তু সুযোগ নষ্টের জন্য সন্তুষ্ট কি তিনি হবেন? অবশ্যই না। এই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ভারত উল্টো দিকে দু–একটি সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পারার স্বস্তি পেতে পারে। ঘরের মাঠে তেমন ভালো খেলতে পারেনি মার্কেজের দল।
বাংলাদেশ দলে অভিষেক ম্যাচে সত্যিকারের নেতার মতোই খেলেছেন হামজা। নিচে ওপরে উঠেছেন সতীর্থদের প্রয়োজন অনুযায়ী। প্রতিপক্ষের পাস ধরেছেন, বল ক্লিয়ার করেছেন এবং আক্রমণেও উঠেছেন। অভিষেক ম্যাচ বিচারে এখনই বলে দেওয়া যায়, বাংলাদেশ দলে মানিয়ে নেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন হামজা।‘
‘সি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নভেম্বরে আসবে ভারত। তার আগে ভারতের মাঠে ১ পয়েন্ট তুলে নিলো বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচে ১০টি শট নিয়ে ২টি শট বাংলাদেশের পোস্টে রাখতে পেরেছে ভারত। বাংলাদেশ ৮টি শট নিয়ে ৩টি শট ভারতের পোস্টে রাখতে পেরেছে।
ভারত কর্নার পেয়েছে ৭টি, বাংলাদেশ ৪টি। ৩বার অফসাইড হয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ১ বার অফসাইড হয়েছেন ভারতের খেলোয়াড়েরা। বাংলাদেশের দুজন খেলোয়াড় হলুদ কার্ড দেখলেও ভারতের কেউ হলুদ কার্ড দেখেননি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার বলেছেন, ‘ প্রথমার্ধে সুযোগ নষ্ট করেছি। ভারত বিরতির পর ভালো খেলেছে। ১ পয়েন্টে সন্তুষ্ট।’