কেন এই আর্জেন্টাইন তরুণকে তিনবার ফোন করেছেন গার্দিওলা
লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জয় স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি অনুপ্রেরণা দিচ্ছে আর্জেন্টিনার উদীয়মান তারকাদের। আর্জেন্টাইন তরুণদের সেই উৎসাহের পালে বাড়তি হাওয়া দিচ্ছে ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোও, যা অবশ্য আর্জেন্টিনা দলের সমৃদ্ধ পাইপলাইনের দিকেও ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ১৬ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কিশোর জিয়ানলুকা প্রেসতিয়ান্নিকে দলে টানতে হাত বাড়িয়েছে বার্সেলোনা। আর এই কিশোরের আরেক সতীর্থ ম্যাক্সিমো পেরোনেকে কিনতে হন্যে হয়ে মাঠে নেমেছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা।
২০ বছর বয়সী সেন্টার মিডফিল্ডার পেরোনে নিজেও নাকি গার্দিওলার দলে খেলতে উন্মুখ। তবে গার্দিওলা-পেরোনের মধ্যে বাধার দেয়াল দিয়েছেন ভেলেজ সার্সফিল্ডের সভাপতি সার্জিও রাপিসারদা।
তিনি বলেছেন, পেরোনেকে দলে পেতে হলেও টাকার অঙ্ক আরও বাড়াতে হবে। সার্সফিল্ড সভাপতি বলেছেন, ‘তারা আমাদের একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে সেটি আমাদের খুশি করতে পারেনি। আমরা দারুণ একজন খেলোয়াড়ের দলবদল নিয়ে কথা বলছি। পেপ তাকে তিনবার ফোন করেছে। তবে সেটি যথেষ্ট নয়।’
রাপিসারদা নিশ্চিত না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, পেরোনেকে ছাড়তে ৮ মিলিয়ন ইউরোর রিলিজ ক্লজ দিয়েছে সার্সফিল্ড। এই অর্থ দিতে অবশ্য সিটির খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা নয়। আর এই অর্থে রাজি হয়ে গেলে হুলিয়ান আলভারেজের পর আরেকজন আর্জেন্টাইন তরুণ তুর্কিকে নিজের দলে পাবেন গার্দিওলা।
তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুব বেশি সময় পাবেন না গার্দিওলা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরও একাধিক ক্লাব নাকি তাঁকে পেতে সার্সফিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এর আগে প্রথম পেরোনেকে পেতে যোগাযোগ করেছিল উলভারহ্যাম্পটন।নিউক্যাসলও নাকি তাঁকে নেওয়ার ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল।
তবে সের্হিও আগুয়েরোর পথ ধরে পেরোনে নাকি যেতে চান ম্যান সিটিতে। গার্দিওলার সঙ্গে ফোনালাপও হয়তো তাঁকে আলাদাভাবে উজ্জীবিত করতে পারে। তবে ফুটবলের দলবদলে শেষ কথা বলে কিছু নেই। সময় নষ্ট করলে বদলে যেতে পারে কৈশোর পেরোনো এই উদীয়মান তারকার ভবিষ্যৎ গন্তব্য।