‘হলান্ড মানুষ নয়’
৩, ৩, ১, ২, ১, ১, ৩, ২—ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সর্বশেষ আট ম্যাচে আর্লিং হলান্ডের গোলের টালি এটা। নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার একটা হ্যাটট্রিক করলেন, সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হলো—গোলমেশিন হলান্ডের হ্যাটট্রিক। পরের ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করার পর সবাই লিখল-হলান্ডের গোলের চাকা ঘুরছেই। এরপর একটি গোল, লেখা হলো—গোল করেই যাচ্ছেন হলান্ড। এভাবে প্রতি ম্যাচেই...প্রশংসার ভাষা আর বিশেষণ ফুরিয়ে আসারই কথা!
সত্যিই গোল করার দিক থেকে হলান্ড নিজেকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে বর্ণনা করার জন্য নতুন কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। হলান্ডের ম্যান সিটির সতীর্থরাও কি তাঁর সঙ্গে গোল উদ্যাপন করতে করতে একটু ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন না! হলান্ডের এই গোলের ধারা তাঁর সতীর্থদের এখন শুধু হাসায়!
চ্যাম্পিয়নস লিগে গতকাল রাতে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ম্যান সিটির ৫-০ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন হলান্ড। এর আগের ম্যাচেই প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। যেটি তাঁকে প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা প্রথম খেলোয়াড় বানিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে সিটির হয়ে ১২ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন হলান্ড।
হলান্ডের এমন গোলের পর গোল করাটা এখন ম্যান সিটিতে তাঁর সতীর্থদের ভেতর অন্যরকম একটা অনুভূতি জাগায়। এই যেমন জ্যাক গ্রিলিশের কথাই ধরুন। কাল রাতে হলান্ডের জোড়া গোল দেখে কী মনে হয়েছে তাঁর? ম্যান সিটির ইংলিশ ফরোয়ার্ড ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে কী, অবিশ্বাস্য। আমি এমন কিছু আমার জীবনে এর আগে দেখিনি। আমি শুধু হাসছিলাম। সে সব সময় জায়গা মতো থাকে।’
হলান্ডের প্রশংসায় অবশ্য নতুনত্ব এনেছেন কোপেনহেগেন গোলরক্ষক কামিল গ্রাভারা। হলান্ডের প্রশংসা করতে গিয়ে গ্রিলিশকে তিনি অন্যরকম কথাই বলেছেন। কী তা, শোনা যাক গ্রিলিশের কণ্ঠেই, ‘আমি যখন হেঁটে আসছিলাম, কিপার আমাকে বলেছে, “সে মানুষ নয়!” আমি তাকে প্রশ্ন করলাম, “তুমি আমাকে সত্যি বলছ?”’
গ্রিলিশ এরপর যেন প্রার্থনার ভঙ্গিতে বলেছেন, ‘আশা করছি, সে এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারবে এবং আমাদের সাফল্য এনে দেবে।’ হলান্ডের এই ছন্দ মৌসুমজুড়ে থাকলে ম্যান সিটির পক্ষে অনেক কিছু জেতাই সম্ভব।