মেসিকে তুলে নেওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন গালতিয়ের
খেলছিলেন ভালো, শরীরী ভাষায়ও দেখা যাচ্ছিল চনমনে ভাব। তবু কেন পুরো ম্যাচ না খেলে মাঠ ছেড়ে গেলেন লিওনেল মেসি?
বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচ তখন শেষের দিকে। স্কোরলাইন ১-১ সমতা। ৮১ মিনিটে মেসিকে তুলে নেন পিসএজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। প্রথমার্ধে অসাধারণ এক গোল করে যিনি দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন, শেষের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে তাঁকে উঠিয়ে নেওয়ার কারণ কী? কোনো চোট-টোট নয় তো?
পিএসজির সমর্থকদের স্বস্তির খবরই দিয়েছেন কোচ গালতিয়ের। জানিয়েছেন, তেমন কিছুই হয়নি আর্জেন্টাইন মহাতারকার।
স্রেফ ক্লান্তি বোধ করেছিলেন বলে নিজেই উঠতে চেয়েছিলেন মাঠ, ‘এক-দুই মিনিট আগে ও বদলি হওয়ার জন্য ইশারা করেছিল। শেষ দৌড়ের সময় ক্লান্তি বোধ করছিল। আর ম্যাচের ওই মুহূর্তে সতেজ কারও মাঠে নামাটাও ভালো ছিল।’
মেসির বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় পাবলো সারাবিয়াকে। আক্রমণাত্মক এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার অবশ্য বাকি সময়ে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি ম্যাচে। বেনফিকার সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পিএসজি।
মেসিকে বদল করা নিয়ে পিএসজি সমর্থকদের কৌতূহলের আরেকটি কারণও অবশ্য আছে। গত মাসে জুভেন্টাসের বিপক্ষে মেসিকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন পিএসজি কোচ। চ্যাম্পিয়নস লিগে আট বছর পর মেসির প্রথম বদলির ঘটনা ছিল এটি।
২০১৪ সালে বার্সেলোনা-আয়াক্স ম্যাচে বদলি হওয়ার পর টানা ৬৩ ম্যাচ শুরুর একাদশে নেমে পুরো সময় খেলেছেন মেসি। গালতিয়ের সেই ধারায় ছেদ টানেন।
চলতি মৌসুমে লিগ ‘আঁ’ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ খেলেছে পিএসজি। সব কটিতে খেলেছেন মেসি। গোলও করেছেন ৭টি।
বুধবার রাতে বেনফিকার বিপক্ষ গোলটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর ১২৭তম; ১৩ গোল বেশি নিয়ে মেসির ওপরে ক্রিষ্টিয়ানো রোনালদো (১৪০টি)।
বেনফিকার বিপক্ষে ড্রয়ের ফলে তিন ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট এখন ৭, সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট বেনফিকারও।
৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে জুভেন্টাস, কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ম্যাকাবি হাইফা আছে সবার শেষে।