সাবেক প্রেমিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও করে বিপাকে কোরিয়ান স্ট্রাইকার
এএফসি এশিয়ান কাপের আগে স্ট্রাইকার হাং উয়ে-জোকে সাত সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। নিজের সাবেক প্রেমিকার অনুমতি ছাড়াই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ফোনে ভিডিও করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চলছে। এ কারণে তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল।
ইংলিশ ফুটবল লিগের দ্বিতীয় স্তরে খেলা ক্লাব নরউইচ সিটির স্ট্রাইকার হাং উয়ে-জো। তবে হাং এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুটি ম্যাচ খেলেছেন হাং। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গোলও পেয়েছেন। কিন্তু পুলিশি তদন্তের ফল না জানা পর্যন্ত গতকাল তাঁকে নিষিদ্ধ করে কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (কেএফএ)।
হাং তাঁর ক্লাব নরউইচের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। গতকাল ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে নরউইচের ৩-২ গোলে হারের ম্যাচে গোলও পেয়েছেন। তাঁকে নিষিদ্ধ করার বিবৃতিতে কেএফএ বলেছে, ‘নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা হাংকে জাতীয় দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কেএফএ নৈতিকতা কমিটির চেয়ারম্যান লি ইয়ুন-নাম সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অবশ্যই ‘নৈতিকতার মানদণ্ড উঁচু রাখতে হবে এবং দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। লি বলেছেন, ‘যেহেতু সন্দেহভাজন হিসেবে এ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তাই জাতীয় দলের হয়ে সাধারণ কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া তাঁর (হাং উয়ে-জো) জন্য কঠিন হবে। জাতীয় দল নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের উচ্চাশা থাকে। আমাদের মনে হয়েছে হাংকে জাতীয় দলের জন্য বাছাই করা ঠিক হবে না।’
নটিংহাম ফরেস্ট থেকে ধারে নরউইচে যোগ দেওয়া হাং দক্ষিণ কোরিয়ার জার্সিতে ৬২ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন। কেএফএর বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান বলেছেন, ‘আমি পরিস্থিতির গুরুত্ব ভালোভাবে বুঝতে পারছি। কোরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব।’
পুলিশি তদন্ত শুরুর পর সিঙ্গাপুর ও চীনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে হাংকে জাতীয় দলে খেলান ক্লিন্সম্যান। তখন তাঁকে খেলানোর বিষয়ে জার্মানির সাবেক এই স্ট্রাইকারের যুক্তি ছিল, ‘এমন গুঞ্জন উঠতেই পারে। কিন্তু কোনো কিছু প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত...আমি বিশ্বাস করি না।’
১২ জানুয়ারি কাতারে শুরু হবে এএফসি এশিয়ান কাপ। তিন দিন পর বাহরাইনের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ কোরিয়া।