২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ক্যামেরাম্যানের গায়ে হাত তোলায় মার্তিনেজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

হারের পর কলম্বিয়া তারকা হামেস রদ্রিগেজের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজএএফপি

এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে কলম্বিয়া ক্রীড়া সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাকর্ড)। গতকাল বারানকিয়ায় কলম্বিয়া–আর্জেন্টিনা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ শেষে এক টিভি ক্যামেরাম্যান দাবি করেন, আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ তাঁকে মেরেছেন। এ নিয়ে ফিফার কাছে মার্তিনেজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে কলম্বিয়া ক্রীড়া সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ম্যাচ শেষে ক্যামেরাম্যানের প্রতি আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ যে আক্রমণাত্মক আচরণ করেছেন, তা প্রবলভাবে প্রত্যাখ্যান করছে অ্যাকর্ড কলম্বিয়া। হাতে আঘাত করে ক্যামেরাম্যানের যন্ত্রপাতি মাঠে ফেলে দেওয়া বাক্‌স্বাধীনতার প্রতি আক্রমণ, যা আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতার কর্তৃপক্ষ হিসেবে ফিফার কাছে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে অ্যাকর্ড। তিনি নতুন প্রজন্মের কাছে উদাহরণ দেওয়ার মতো কেউ নন।’

স্বাগতিক কলম্বিয়ার কাছে ২–১ গোলে হারের পর কলম্বিয়ার কয়েকজন ফুটবলারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাঠ ছাড়ছিলেন মার্তিনেজ। এ সময় তাঁকে ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন কলম্বিয়ার কারাকল টিভি ও আরসিএন দেপোর্তেসের ক্যামেরাম্যান জনি জ্যাকসন। তখনই ক্যামেরাম্যানকে আঘাত করে বসেন মার্তিনেজ। এতে ক্যামেরাসহ জ্যাকসন মাঠে পড়ে যান বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।

আরও পড়ুন

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, বিতর্কিত পেনাল্টির সিদ্ধান্তের কারণেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মার্তিনেজ। সে কারণেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে মার্তিনেজকে ভিডিও বার্তাও দিয়েছেন জনি জ্যাকসন, ‘দিবু (মার্তিনেজের ডাকনাম), আমি তোমাকে বলতে চাই, দুশ্চিন্তা কোরো না। জীবনে সবাই ম্যাচ হেরেছে। এই হারে তুমি হয়তো বেশি কষ্ট পেয়েছ, কিন্তু এসব ভুলে সামনে এগিয়ে যাও।’

ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে হেরেছে আর্জেন্টিনা
এএফপি

ঘটনাটি ঘটার প্রতিক্রিয়ায় কেমন লেগেছে, সে বিষয়ে জনি জ্যাকসনের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে টিওয়াইসি স্পোর্টস, ‘শেষ বাঁশি বাজানোর পর ক্যামেরাম্যান হিসেবে মাঠে ঢুকে প্রতিক্রিয়া নেওয়াই ছিল আমার কাজ। মাঠে ঢুকে সেটাই করছিলাম। দিবুকে দেখলাম এক বদলি গোলকিপারের সঙ্গে হাত মেলাতে। তার কাছে এগিয়ে যেতেই আঘাত করে বসল! এতে খুব রাগ হয়েছিল। কারণ, তার মতো আমিও মাঠে নিজের কাজ করছিলাম। তার সঙ্গে কখনো ফুটবলও খেলিনি। তবে (সে আমার সঙ্গে এমন করলেও) কিছু বলিনি।’

আরও পড়ুন