বদলি নামা ফ্রাঙ্ক কেসির যোগ করা সময়ে গোল করতেই গর্জে ওঠে ক্যাম্প ন্যু। ৯৫ হাজার দর্শকের কাছে এই গোলের মর্মার্থ যে অজানা নয়। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসেই বুঝিয়ে দিয়েছে, শিরোপাদৌড়ে তারা এখন রিয়ালের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে, হয়তো ধরাছোঁয়ারই বাইরে।
লা লিগায় গত রাতে পিছিয়ে পড়েও কেসির ওই গোলেই রিয়ালকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে ট্রফিতে এক হাত দিয়ে রেখেছে তারা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে বার্সার কাছে টানা তিন ম্যাচ হারল রিয়াল। জানুয়ারিতে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল, এ মাসের শুরুতে কোপা দেল রে সেমিফাইনালের প্রথম লেগ আর কাল লা লিগায় ফিরতি লেগ।
এক বছরে তিনবার এল ক্লাসিকো জিতে নতুন এক কীর্তিই গড়ে ফেললেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। সর্বশেষ ২০১১ সালে পেপ গার্দিওলা টানা তিন এল ক্লাসিকো জিতেছেন।
ব্যক্তিগত ও দলীয় অর্জন মিলিয়ে জাভি খুশি হলেও মাটিতেই পা রাখছেন। ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘১২ ম্যাচ বাকি থাকতে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে গিয়েছি। এতে বেশ খুশি। কিন্তু এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। লা লিগার শিরোপা জেতা না–জেতা এখন আমাদের হাতে। আমরা চাইলেই আরাম করতে পারি না। চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছি—এমন অনুভূতিও কাজ করছে না। এখনো বহু পথ পাড়ি দিতে হবে।’
৮১ মিনিটে বার্সার জাল কাঁপিয়ে ক্ষণিকের জন্য ক্যাম্প ন্যু স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন মার্কো আসেনসিও। কিন্তু ভিএআরে অফসাইডের ফাঁদে পড়েন রিয়ালের এই উইঙ্গার। গোল বাতিল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন লস ব্লাঙ্কোদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
তবে জাভি মনে করেন, ভালো খেলেই জিতেছে তাঁর দল, ‘আমরা অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছি। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও আমাদের হাতে ছিল। সব মিলিয়ে ওদের চেয়ে ভালো খেলেছি। ম্যাচের ফলও ঠিক আছে। ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়াটাই শুধু ঠিক ছিল না।’