রোনালদোর মতো উদ্‌যাপন করতে গিয়ে পড়েই গেলেন সার্বিয়ান ফুটবলার

গোলের পর তেরজিচরয়টার্স

ফুটবলে মঞ্চে উদ্‌যাপনের দিক থেকে সম্ভবত সবার ওপরে থাকবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিউ’ উদ্‌যাপন। বিশ্বব্যাপী নানা জায়গায় বিভিন্ন পর্যায়ের ফুটবলারদের দেখা যায় ‘সিউ’ উদ্‌যাপনে মেতে উঠতে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও আলেহান্দ্রো গারনাচোকেও দেখা গেছে রোনালদোর এই ভঙ্গিতে।

গতকাল মালদ্বীপের বিপক্ষে যেমন বাংলাদেশকে সমতায় ফিরিয়ে ‘সিউ’ উদ্‌যাপনে মাততে দেখা যায় বাংলাদেশের ফুটবলার মজিবর রহমান জনিকে। শুধু ফুটবলই অবশ্য নয়, অন্যান্য খেলায়ও বিভিন্ন সময় দেখা গেছে এই উদ্‌যাপন। তবে সর্বশেষ এই উদ্‌যাপন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন সার্বিয়ার আলেক্সা তেরজিচ।

গোল করে ‘সিউ’ উদ্‌যাপনের সময় একজন ফুটবলার সাধারণত কিছুটা দৌড়ে গিয়ে শূন্যে লাফিয়ে শরীর মুচড়ে উল্টো করে মাটিতে নামার সময় আড়াআড়িভাবে হাত দুটি শরীরের দুই পাশে নামিয়ে আনেন।

আরও পড়ুন

রোনালদোর মাধ্যমে শুরু হওয়ার পর ফুটবলে এটি রীতিমতো ট্রেডমার্ক উদ্‌যাপনে পরিণত হয়েছে। বিখ্যাত এ উদ্‌যাপনটি করার সময় মুখে ‘সিউ’ বলে চিৎকারও দিয়ে থাকেন রোনালদো। যে কারণে উদ্‌যাপনটি পরিচিতি পেয়েছে ‘সিউ’ নামে।

দূর থেকে রোনালদো মনে হলেও আসলে রোনালদো নন, তেরজিচ
এএফপি

গতকাল রাতে নেশনস লিগে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ‘সিউ’ উদ্‌যাপন করতে গিয়েই বিপদে পড়েছিলেন তেরজিচ। ম্যাচের শেষ দিকে সমতাসূচক দুর্দান্ত এক গোলের পর উদ্‌যাপনের জন্য ঠিকই লাফিয়ে উঠেছিলেন তেরজিচ। কিন্তু নামার পর আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে পড়ে যান মাটিতে।

আরও পড়ুন

সে সময় উদ্‌যাপনে মেতে ওঠা সতীর্থরাও ঝাঁপিয়ে পড়েন তাঁর ওপর। এ সময় চোটে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দেয়। পরে অবশ্য সার্বিয়ান কোচ দ্রাগান স্তয়কোভিচ তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন।

পরে এমন বাঁধহীন উদ্‌যাপন নিয়ে তেরজিচ বলেন, ‘আমি এমন একটি গোলের স্বপ্নই দেখছিলাম। আমি দলকে সাহায্য করার জন্য নিজের সেরাটা দিয়েছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’